
শিক্ষা সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার। দেশের প্রায় ১ কোটি শিক্ষার্থী কিন্ডারগার্টেনে লেখা পড়া করছে। ৫০ হাজার কিন্ডারগার্টেনে ৭ লাখ শিক্ষক শিক্ষাদান করছেন। তাদের অবহেলা করে সকলের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। কিন্ডারগার্টেনকে নীতিমালার আওতায় এনে সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা যায়।
আজ রাজধানীর খিলগাঁও’র একটি কমিউনিটি কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এন্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র ও অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর ড. খান মঈনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল একথা বলেন।
ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. রেজাউল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য অধিদফতরের সিনিয়র ডিপিআইও মোহাম্মদ ওমর ফারুক দেওয়ান, ইডেন কলেজের সহকারী অধ্যাপক (ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ) ড. শারমিন জাহান, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী, ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বেলাল হোসেন ভূইয়া, অর্থ সম্পাদক মো. অলিউল্লাহ সরকার, শিক্ষা সম্পাদক সামছুদ্দিন আহমেদ স্বজল উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা পূর্বাঞ্চলের ২৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বৃত্তিপ্রাপ্তদের সনদ ও অর্থ বিতরণ করা হয়।
ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ২০২৫ সালের বৃত্তি পরীক্ষায় যাতে কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকরা অংশ গ্রহণ করতে পারে তার দাবি করেন শিক্ষকরা।
প্রধান অতিথি জনাব কেএমএএম সোহেল এ দাবিকে ন্যায় সঙ্গত বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, কিন্ডারগার্টেন প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভার অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে। তাই প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় ন্যায্য দাবি পূরণে নীতিমালা প্রণয়ন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।