বুধবার, জুলাই ৯Dedicate To Right News
Shadow

বিএমইউতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান মাস-২০২৫ উপলক্ষে র‌্যালি ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত

Spread the love

বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) এর উদ্যোগে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান মাস-২০২৫ উপলক্ষে উদ্বোধনী র‌্যালি ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী আজ মঙ্গলবার ১ জুলাই ২০২৫ইং তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই কর্মসূচী উপলক্ষে সকাল ৯টায় বিএমইউ এর প্রশাসনিক ভবন, বি-ব্লক এর সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালন ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এসকল কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএমইউ এর মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান মাস-২০২৫ বা ৩৬ জুলাই (৫.৮.২০২৫) পর্যন্ত বিএমইউ এর গৃহীত কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে শহীদ দিবস উপলক্ষে ডকুমেন্টারি ও স্থিরচিত্র প্রর্দশনী, রক্তদান, ফ্রি ক্রিনিং ও রক্তদাতা নিবন্ধীকরণ, চিত্রাঅঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, বহির্বিভাগে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা, রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিলসহ নানা কর্মসূচী।

আজকের কর্মসূচীতে মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম বলেন, ২০২৪ এর জুলাই ছিল অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতার। ছাত্র জনতার সফল গণঅভুত্থানে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ও দীর্ঘদিনের স্থাপনার পরিবর্তন হয়। দেশ তখন পিছিয়ে যাচ্ছিল, মানুষের অধিকার ছিল না। এখন সময় এসেছে দেশকে এগিয়ে নেয়ার। জনগণের কাছে আমাদের প্রতিজ্ঞা বাংলাদেশকে উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যায়কে আরো এগিয়ে নিতে হবে। আরো দক্ষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি করতে হবে। চিকিৎসা সেবার মান আরো বৃদ্ধি করতে হবে। তাহলেই যেসকল বীর শহীদগণ, যে সকল বীর যোদ্ধারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, অর্থনৈতিক ঝুঁকি নিয়ে গণঅভুত্থানকে সফল করেছে তাদের আত্মত্যাগ স্বার্থক হবে।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিগত আওয়ামীলীগ সরকার মুক্তিযোদ্ধা কোটাকেও দলীয়করণ করেছিল। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা বঞ্চিত হয়েছিলেন। মানুষের বাকস্বাধীনতা ছিল না। ছাত্র জনতার ন্যায্য আন্দোলনে পৈশাচাকি হামলা চালিয়েছে, যা বিশ্বে বিরল। সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকায় ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন নিশ্চিত হয়েছে। এখন দেশটাকে এগিয়ে নিতে হবে। সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তা না হলে ফ্যাসিস্টরা পুনরায় সুযোগ পাবে।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ছাত্রজনতা বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে জীবন দিয়েছেন। ফলে আমরা মুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি। আমরা তাদের আত্মত্যাগের উপকারভোগী। জুলাই শহীদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করি। আহদের যাতে উন্নত ও সুচিকিৎসা হয় আমাদেরকে অবশ্যই তা নিশ্চিত করতে হবে।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার বলেন, জুলাই গণঅভুত্থান সফল হয়েছে বলেই আজকে আমরা বড় বড় পদে অধিষ্ঠিত। আহতদের যাতে সুচিকিৎসা হয় সেদিকে সকলেরই দৃষ্টি রাখতে হবে। শহীদের আত্মত্যাগ যাতে বিফলে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদেরকে কাজ করতে হবে।

রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদ, ওয়াসিম, মুগ্ধ সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। বিগত সরকার দেশটাকে নরকে পরিণত করেছিল। এখন সময় এসেছে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি গণতান্ত্রিক সরতার প্রতিষ্ঠিত করার। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও জনগণের আশা পূরণে প্রয়োজন জাতীয় নির্বাচন এবং নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত করা। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করে যেতে হবে।

কর্মসূচীতে আরো উপস্থিত ছিলেন সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোঃ রুহুল আমীন, বিএমইউর প্রক্টর ও আজকের আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক ডা. শেখ ফরহাদ, প্ল্যাস্টিক সার্জন ডা. ইকবাল মাহমুদ রনি, ডেন্টাল সার্জন ডা. সাখাওয়াত হোসেন, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) খন্দকার শফিকুল হাসান রতন, অতিরিক্ত পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) নাছির উদ্দিন ভূঁঞা, অতিরিক্ত পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মোহাম্মদ বদরুল হুদা, মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয়ের একান্ত সচিব-১ ডা. মোঃ রুহুল কদ্দুস বিপ্লব, একান্ত সচিব-২ মোঃ লুৎফুর রহমান, উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব-জনসংযোগ) ও আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ডা. সাইফুল আলম রঞ্জু, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয়ের একান্ত সচিব মোঃ হুমায়ুন কবির, কোষাধ্যক্ষ মহোদয়ের একান্ত সচিব সাবিনা ইয়াসমিন, কর্মকর্তা মোঃ ইয়াহিয়া খাঁন, মোঃ শামীম আহম্মদ, মোঃ ইলিয়াছ হোসেন প্রমুখসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *