
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) প্রথমবারের মতো আয়োজন করল ওয়ার্ল্ড ইভিডেন্স-বেইসড হেলথকেয়ার ডে ২০২৫। প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসাবিদ্যার (Evidence-Based Medicine) চর্চা উৎসাহিত করে রোগীর অধিকার নিশ্চিত ও স্বাস্থ্যসেবায় গুণগত পরিবর্তন আনাই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
দিবসটি উপলক্ষে বিএমইউ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয় র্যালি, আলোচনা সভা, সেমিনার, ই-পোস্টার প্রেজেন্টেশন, বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা। বক্তারা বলেন, প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা চর্চা চিকিৎসা ব্যয় হ্রাস, বিজ্ঞাননির্ভর সেবা প্রদান ও স্বাস্থ্যখাতে দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
‘এভিডেন্স অ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে বিএমইউর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে ২০২৫ সালের জন্য ওয়ার্ল্ড এভিডেন্স-বেইসড হেলথকেয়ার ডে কর্তৃপক্ষ ‘Evidence Ambassador’ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই অর্জন বিএমইউকে প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা উন্নয়নে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডা. মোঃ সায়েদুর রহমান
বিএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের লেকচার হলে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ডা. মোঃ সায়েদুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন বিএমইউর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম।
অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, “বিএমইউ হবে প্রমাণ তৈরির কেন্দ্র। এখানকার গবেষণা ও প্রজ্ঞা দেশকে বিজ্ঞাননির্ভর, কল্যাণমুখী সমাজে রূপান্তরে অবদান রাখবে।”
সভাপতির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম বলেন, “প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা চর্চা রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে আস্থা পুনর্গঠন করবে। সঠিক সিদ্ধান্তে রোগীর সম্পৃক্ততা বাড়লে চিকিৎসা আরও মানবিক ও কার্যকর হবে।”
তিনি আরও জানান, বিএমইউ ইতোমধ্যে ‘ইভিডেন্স-বেইসড মেডিসিন’ বিষয়ে একাধিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করেছে এবং ১৫০-এর বেশি ফ্যাকাল্টি সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
বক্তারা যা বললেন
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএমআরসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার, বিএমইউর প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ ও অধ্যাপক ডা. মুজিবুর রহমান হাওলাদারসহ আরও অনেকে। বক্তারা বলেন, প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা চর্চা টেকসই ও সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের অন্যতম চাবিকাঠি।
সঠিক তথ্যনির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় টেস্ট, ভুল প্রেসক্রিপশন ও অ্যান্টিবায়োটিক অপব্যবহার রোধ করা সম্ভব বলে তারা মত দেন।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ব্রেইন অংগুসের কীনোট প্রেজেন্টেশন
দিবসের শেষ পর্বে ‘ইভিডেন্স-বেইসড মেডিসিন অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল অডিট’ বিষয়ে কীনোট উপস্থাপন করেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ব্রেইন অংগুস (Brian Angus)। তিনি বলেন, “Evidence-Based Healthcare ভবিষ্যতের চিকিৎসার মূল স্তম্ভ। এটি রোগী, চিকিৎসক ও গবেষকের মধ্যে বিশ্বাস ও কার্যকারিতা গড়ে তোলে।”
অনুষ্ঠানে ‘ইভিডেন্স-বেইসড হেলথকেয়ার প্র্যাকটিস ইন বাংলাদেশ: হোপস অ্যান্ড ডিসপেয়ার’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হয়।
বিএমইউর অঙ্গীকার
বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, গবেষণা, শিক্ষা ও চিকিৎসা— তিন ক্ষেত্রেই প্রমাণভিত্তিক পদ্ধতি চালু করে দেশব্যাপী স্বাস্থ্যসেবায় একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বিএমইউ।
#BMU #WorldEvidenceBasedHealthcareDay #EvidenceBasedMedicine #HealthcareInnovation #OxfordUniversity #MedicalResearch #BangladeshHealth #EvidenceAmbassador #QualityHealthcare #HealthEducation #BMU2025 #MedicalUniversity #PublicHealth #ClinicalAudit
