মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণ, ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক চালু এবং তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ স্থাপনে যে প্রতিশ্রুতি নির্বাচনী ইশতেহারে জাতিকে দেওয়া হয়েছিল ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এই তিনটি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন শুরু করেছে এবং নির্ধারিত সময়ের্ মধ্যেই তা শেষ হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে আমরা বিশ্বের সাতান্নতম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারি দেশের গৌরবই কেবল অর্জন করিনি বরং গত দু‘বছরে আমাদের নিজেদের ছেলেদের কারিগরি সহায়তায় কোন প্রকার ত্রুটি বিচ্যুতি ছাড়াই নিরবচ্ছিন্নভাবে স্যাটেলাইট –সেবা প্রদান অত্যন্ত গর্বের বিষয় বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী ৭ অক্টোবর রাতে ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড-বিএসসিএল আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে দেশের বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলসমূহের সম্প্রচার শুরুর ২য় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা’য় এসব কথা বলেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, অনলাইনে যুক্ত হয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. আফজাল হোসেন এবং এসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-এটকো সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসসিএল-এর চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা অনুযায়ী ২০২১ সাল বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে রূপান্তরের বছর উল্লেখ করে বলেন, বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, আইটিইউ ও ইউপিইউ-এর সদস্যপদ অর্জন,টিএন্ডটি বোর্ড প্রতিষ্ঠা, প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা প্রবর্তনসহ বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপণ করে গেছেন।
টিভি চ্যানেল মালিকদের এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাই নিজ দেশের স্যাটেলাইট ব্যবহার করতে পেরে গৌরব অনুভব করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অচিরেই দেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। মোস্তফা জব্বার বিএসসিএল এর সাথে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সাথে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আলোচনা শেষে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।