বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২Dedicate To Right News
Shadow

শুরু হচ্ছে সিসিমপুরের নতুন মৌসুম

Spread the love


শুরু হচ্ছে শিশুদের প্রিয় অনুষ্ঠান সিসিমপুরের নতুন মৌসুম, সিজন-১৪। এখানে হালুম টুকটুকি, ইকরি ও শিকু হাজির হচ্ছে নতুন নতুন সব গল্প নিয়ে। নতুন এই সিজনের শ্লোগান- তের পেরিয়ে চৌদ্দ এলো/এগিয়ে চলো, পেখম মেলো। আগামী ১৫ অক্টোবর, শুক্রবার থেকে সিজন-১৪ এর আনকোরা পর্বগুলো শিশুরা দেখতে পাবে দুরন্ত টেলিভিশনের পর্দায়। পরবর্তীতে যা দেখা যাবে বিটিভি এবং মাছরাঙা টিভিতে।

এমপ্যাথি বা সমানুভূতিকে মূলভাব ধরে সিসিমপুরের ১৪তম মৌসুমটি সাজানো হয়েছে মজার মজার সব গল্প দিয়ে। প্রতিটি পর্ব শুরু হবে সিসিমপুরের প্রিয় বন্ধু হালুম, টুকটুকি, ইকরি, শিকুদের নিয়ে। আর সাথে প্রতিবারের মতোই থাকছে গুণী ময়রা, আশা, গ্রোভার, রায়া, খুশি আর বাহাদুর।
থাকবে ইকরির বর্ণ লেখার গল্পগুলো। প্রতিটি পর্বে ইকরি একটি করে বর্ণ লিখবে। সাউন্ড আর ভিজ্যুয়ালের মাধ্যমে খেলতে খেলতেই ইকরি শিখবে ও শেখাবে কীভাবে এক-একটি বর্ণ লিখতে হয়। আরও থাকবে উপস্থাপক শিকুর উপস্থাপনায় দারুণ কুইজ শো ‘শিকুর বলতে পারো’। বন্ধু রায়াকে সঙ্গে নিয়ে ‘মুশকিল আসানকারী গ্রোভার’ দারুণ মজার সব গল্প শোনাবে। মুশকিল আসান করতে গিয়ে কীভাবে মুশকিল আরো বাড়িয়ে দেয় সে, আর শেষ পর্যন্ত কীভাবে উত্তরণ ঘটে সেই মুশকিল থেকে, তারই বর্ণনা থাকবে সেসব গল্পে।

১৪ অক্টোবর ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সিসিমপুর সিজন-১৪ উদ্বোধন করবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম, ইউএসএআইডি’র মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন ডেভিস স্টিভেন্স, সিসেমি ওয়ার্কশপের প্রেসিডেন্ট শেরি ওয়েস্টিন, বিটিভি’র মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন, মাছরাঙা টেলিভিশনের নির্বাহী পরিচালক অজয় কুমার কু-ু, দুরন্ত টেলিভিশনের পরিচালক অভিজিৎ চৌধুরী, এশিয়াটিকের ভাইস চেয়ারম্যান সারা যাকের, সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম। সঙ্গে থাকবে সিসিমপুরের বন্ধু খুশি, ইকরি, শিকু, টুকটুকি, হালুম, রায়া ও গ্রোভার।

ইউএসএআইডি’র আর্থিক সহযোগিতায় নির্মিত ‘সিসিমপুর’ ২০০৫ সাল থেকে প্রাক-প্রাথমিক শিশু বিকাশ কার্যক্রমের আওতায় ‘সর্বত্র শিশুরা হয়ে উঠুক আরও সম্পন্ন, আরও সবল এবং আরও সদয়’ এই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সিসিমপুর অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারে সহায়তা করছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যালয়ভিত্তিক কার্যক্রমে সহায়তা করছে প্রথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *