![](https://bn.thestatement24.com/wp-content/uploads/2021/11/FB_IMG_1637062919637.jpg)
জাবি প্রতিনিধি
বিউটি বেগম (ডাক নাম) তার ভর্তি পরীক্ষার্থী মেয়ে ও এক বছরের শিশুকে নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। বিপত্তি বাঁধল যখন বিউটি বেগম ১ বছরের শিশুটিকে বুকের দুধ খাওয়াবেন। আশেপাশে দেখলেন মানুষের অনেক ভিড়। কিছুক্ষণ হাঁটতে হাঁটতে তিনি একটা স্টল পেলেন যেখানে লেখা ‘ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার’। তিনি দেখলেন এখানে এমনভাবে সাজানো কর্নার যেখানে কোনো প্রকার ঝই-ঝামেলা ছাড়াই সুন্দরভাবে দুগ্ধপান করানো যায়। শিশুটিকে দুগ্ধ পান করার পর স্বস্তি পেলেন বিউটি বেগম।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ডীপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশন (DESRF’s) ব্রেস্ট ফিডিং কর্নারটি স্থাপন করেছে যেখানে বিউটি বেগমের মতো আরো অনেকেই পেয়েছেন কাঙ্ক্ষিত একটু জায়গা। জায়গাটি আয়তনে কম হলেও তার প্রয়োজন বিউটি বেগমদের কাছে অসামান্য।
ডীপ ইকোলজির ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের প্রশংসা করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী সকলেই।
জাবির ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুমনা গুপ্তা বলেন, “ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য আলাদা কর্নার স্থাপনের ধারণাটি অবশ্যই প্রশংসনীয়। এই জায়গাটি মা এবং শিশু উভয়কে একটি শান্ত পরিবেশ দেবে।
তিনি আরো বলেন, “সর্বজনীন স্থান যেমন মল, হোটেল এবং রেস্তোরাঁতেও এমন কর্নার থাকা উচিত যাতে মায়েরা তাদের বাচ্চাদের বিনা দ্বিধায় বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন। ডীপ ইকোলজিকে ধন্যবাদ শুরুটা করার জন্য।”
এই উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডীপ ইকোলজি এন্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাহফুজুর রহমান বলেন, জাহাঙ্গীরনগরের এবারের ভর্তিযুদ্ধে প্রায় ৩ লাখ পরিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন, যাদের সাথে আগত অভিভাবকদের অনেকের নবজাতক থাকতে পারে, কিন্তু ক্যাম্পাসে এই জনবহুল সময়ে তাদের জন্য কোনো সুবিধাজনক ব্যবস্থা রাখা হয়নি। সংখ্যাটা কম হলেও আমরা চাই একজন মা ও যেন তার সন্তানকে স্তন্যদান করতে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে না পড়েন। তাই ডীপ ইকোলজি এন্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে আমরা বিনামূল্যে স্বেচ্ছাসেবা ও প্রয়োজনীয় জিনিস জমা রাখার পাশাপাশি ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার চালু করেছে। কেননা ডীপ ইকোলজি দর্শন অনুযায়ী আমরা কেবল প্রাণী নয় বরং মানুষ এবং আর সকল প্রাণীর ভালো থাকা নিশ্চিত করতে চাই।