সোমবার, নভেম্বর ৪Dedicate To Right News
Shadow

রাজীবের লেখা গানে কণ্ঠ দিলেন হোমায়েরা বশির ও রাজা বশির

Spread the love

২১ ফেব্র“য়ারি, আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা এবং মহান শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে ভাষার গান ও গানচিত্র নিয়ে আসছেন হোমায়েরা বশির, রাজা বশির ও গুলশান হাবিব রাজীব। গানের শিরোনাম ‘বাংলা আমার ভাষা, বাংলা মায়ের ভাষা’। গানটি চিত্রায়ন হয়েছে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া’তে। গানের কথা লিখেছেন গুলশান হাবিব রাজীব। সুর, সংগীত আয়োজন ও নির্মাতা হিসেবে আছেন রাজা বশির। গানটি গেয়েছেন কণ্ঠশিল্পী হোমায়েরা বশির ও রাজা বশির। কোরাস অংশে (সমবেত) কণ্ঠ দিয়েছে বরেণ্য সংগীতশিল্পী বশির আহমেদ ও মীনা বশির-এর প্রতিষ্ঠিত ‘সারগাম ইন্টারন্যাশনাল মিউজিক্যাল একাডেমি’র (সিমা) ২য় বর্ষের ৫ শিক্ষার্থী। তারা হলো- আহনাফ, রূপন্তি, স্নেহা, নুসাইবা ও সারগাম। গানটি ‘সারগাম সাউন্ড স্টেশন’ ইউটিউব চ্যানেল থেকে ২১ ফেব্র“য়ারি রিলিজ হচ্ছে।
গানটি লেখা সম্পর্কে গীতিকার গুলশান হাবিব রাজীব বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন নিয়ে আহমদ রফিক স্যারের লেখা একটি বই পড়ার পর এই গানটি লিখতে উৎসাহ পাই। একুশে ফেব্র“য়ারির মর্মান্তিক সত্য ঘটনাবহুল ইতিহাস-এর কিছু বিষয় গানের কথায় উল্লেখ করেছি। পুলিশের গুলিতে শহীদ রফিকের মাথার খুলি উড়ে মগজ ছিটকে পড়ে। সেই ছিটকে পড়া মগজ হাতে করে নিয়ে যাওয়া হয়। এর চেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা কি হতে পারে ! একটা গানে যতটুকু পেরেছে, এই বিষয়গুলো উল্লেখ করেছি। আমরা যেন এই ইতিহাস ভুলে না যাই- এই গানের মাধ্যমে সকলের প্রতি এটাই আহ্বান। ছোটবেলায় পাঠ্যবই-এ ২১ ফেব্র“য়ারিতে ৪ জন শহীদের নাম পড়েছি। তবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে ভাষা শহীদের ভাস্কর্যে আরেকজন আছেন। তিনি হলেন শহীদ শফিক। পুরো নাম শফিউর রহমান। এই গানে ৫জন শহীদের নাম উল্লেখ আছে। এসব কিছুর তথ্যসূত্র আহমদ রফিক স্যারের বই। এই গানের সংগীতায়োজন নিয়ে ভাবার সময়- প্রথম যে নামটি এসেছে তিনি হলেন রাজা বশির ভাই। আর তাঁর সংগীতায়োজন শোনার পর সারপ্রাইজ হয়েছি কোরাস অংশ নিয়ে। আমি শুধু ভেবেছিলাম তিনি ও হোমায়েরা বশির আপু এই গানটি গাইতে পারেন। পরে তিনি কোরাস অংশ রেখেছেন। আশা করি, সবার ভালো লাগবে।’
গানটি সম্পর্কে কণ্ঠশিল্পী রাজা বশির বলেন, ‘আমি পারিবারিক কাজে বর্তমানে কিছু দিনের জন্য অস্ট্রেলিয়াতে অবস্থান করছি। কিছুদিন আগে রাজীব ভাই হোয়াটস্ অ্যাপে গানটি আমাকে পাঠায়। গানটির কথা ভিন্নধর্মী লেগেছে আমার কাছে। তাই গানটির সংগীতায়োজন করতে রাজি হই। আমি ব্যতিক্রমধর্মী একটা সংগীতায়োজন করেছি। সবাই প্রছন্দ করবেন আশা রাখি। গানটির চিত্রায়ন হয়েছে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া’তে। গানটির ভিডিও ধারণে আমাকে সহযোগিতা করেছে আমার সহধর্মিণী রুনা বশির এবং বাংলাদেশ থেকে শহিদুযযামান প্রান্ত—। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা স্বরণ করছি সকল ভাষা শহীদদের।’
কণ্ঠশিল্পী হোমায়েরা বশির বলেন, ‘রাজা আমার সাথে গানটির কথা ও সংগীতায়োজন নিয়ে কথা বলে। আমি তার পরিকল্পনা শুনেই গানটি গাওয়ার জন্য রাজি হয়ে যাই। গানে কিছু বিষয় উঠে আসবে, যা সচরাচর হয় না। গানের কথা ও সংগীতায়োজন সত্যিই ব্যতিক্রম হয়েছে। শ্রোতাদের ভালো লাগলে আমাদের সার্থকতা।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *