হিল ই-কমার্স সোসাইটি শুরু থেকেই প্রচলিত বৃত্তের বাইরে চিন্তা করে আসছে। তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে। দিনভর হিলে চলবে উদ্যোক্তা কথন, হবে নারীকেন্দ্রিক গান,কবিতা।
এর পাশাপাশি এ বছরই তারা আরেকটি অভিনব কাজ করেছে। হিল প্রবর্তন করেছে ” জাগ্রত নারী” সম্মাননা। এই সম্মাননা দেয়া হয়েছে এমন একজনকে যে কেবল নিজের জন্য নয় সমগ্র নারীর উন্নয়নে জেগে থাকে। কাজ করে নিঃস্বার্থভাবে আর স্বপ্ন দেখে এবং স্বপ্ন দেখায়। সকল দিক বিবেচনায় তরুন উদ্যোক্তা মেহনাজ রহমান লিরা এ বছর হিলস প্রবর্তিত “জাগ্রত নারী” সম্মাননা পেয়েছেন।
এ বিষয়ে হিল ই-কমার্স সোসাইটি’র এডমিন মনি পাহাড়ী বলেন – “মেহনাজ রহমান লিরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করে একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে কাস্টমার সার্ভিস কর্মকর্তা ছিলেন। একসময় দুই সন্তান ও পরিবারকে প্রাধান্য দিয়ে চাকরি ছেড়ে দেন। কিন্তু হতাশা নামক কোনো কিছু তাকে গ্রাস করেনি। নিজ বন্ধুর সাথে মিলে উদ্যোগ নেন কিছু একটা করার। সেখান থেকে শুরু হয়
” মনোহারী”। কোয়ালিটি কাজ ও ক্রেতার সাথে যথাযথ যোগাযোগের মাধ্যমে হয়ে উঠেন সফল উদ্যোক্তা। ব্যক্তিকেন্দ্রিক ভাবনায নিমজ্জিত না হয়ে একটা স্বপ্ন নিয়ে হিল ই-কমার্স সোসাইটি’র সাথে যুক্ত হন একেবারে শুরু থেকে। এখানে সকল উদ্যোক্তার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। অসুস্থতাও তাকে থামাতে পারেনা। তিনি অভিজ্ঞতা শেয়ারিং এর মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের গ্রুমিং করেন, উৎসাহ দিতে প্রচুর কেনাকাটা করেন, সর্বোপরি বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে আসেন। যতোটা সময় লিরা অন্য উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যয় করে তার ১০ শতাংশ নিজের জন্য ব্যয় করলে বহু অর্থবিত্ত অর্জন করতে পারতেন। কিন্তু তিনি স্বপ্ন দেখেন অসাধারণ একটা সময়ের যখন বিজনেস সেক্টরেও সাধারণ নারীরা হয়ে উঠবে আইকনিক চবিত্র যাকে নারীর পাশাপাশি পুরুষও সানন্দে অনুসরণ করবে। গড়ে উঠবে সমতার পৃথিবী। আর তাই স্বপ্ন নিয়ে জেগে থাকা মেহনাজ রহমান লিরাকে হিলস এর “জাগ্রত নারী” সম্মাননা দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।”
এ বিষয়ে মেহনাজ রহমান লিরা’র অভিব্যক্তি জানতে চাইলে তিনি বলেন- “হিল ই-কমার্স সোসাইটি র সাথে পথচলা সংগঠনের জন্মলগ্ন থেকেই। ছোট বড় সব আয়োজনে সাথে থাকি। তবে এবারের আয়োজনে আমি সাথে ছিলাম না, আমাকে না জানিয়ে পুরো টিম অসাধারণ একটা কাজ করেছে। কৃতজ্ঞতা সবার প্রতি। “জাগ্রত নারী” এই সম্মাননা পেয়ে আমি আসলেই আবেগাপ্লুত। আজ আক্ষরিক অর্থেই বাকরুদ্ধ। কিছু পাবার প্রত্যাশা নিয়ে কিছু করিনা। সবার ভালোবাসা নিয়ে জেগে আছি। এভাবেই থাকতে চাই অনন্তকাল। ধন্যবাদ এই সম্মাননার প্রবর্তক মনি পাহাড়ী আপুকে। ধন্যবাদ এডমিন প্যানেল, পরিচালনা পর্ষদ, সকল মডারেটর, টিম মেম্বার, উদ্যোক্তা, শুভাকাঙ্ক্ষী। ধন্যবাদ হিল ই-কমার্স সোসাইটি।”
হিল ই-কমার্স সোসাইটি সব সময়ই বলে আসছে উদ্যোগ কিংবা বিজনেস কোনোটাই সংস্কৃতির বাইরের কিছু নয়। আর তাই খন্ডিত কোনোািছুর চর্চা না করে সামগ্রিক জীবনের সাথে মিশিয়ে উদ্যোগকে উদযাপন করে তারা। আগামীতেও এমন চমকপ্রদ আয়োজন নিয়ে আসবে হিল ই-কমার্স সোসাইটি এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।