
অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদ আজ ৮ জুলাই শুক্রবার সকালে ইন্তেকাল করেছেন( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
জানা যায়, আজ আনুমানিক সকাল ৯ টা থেকে ৯.৩০টার মধ্যে নিজ বাসগৃহে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সময় তাঁর কন্যা তনিমা আহমেদ পাশে ছিলেন। শ্রদ্ধেয় শর্মিলী আহমেদের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে আজ বাদ জুমা উত্তরায় ১১ নং সেক্টর মসজিদে। প্রথম জানাজার পর তাঁর মরদেহ বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে কিছুক্ষণের জন্য।
আজ বাদ আসর বনানী কবরস্থানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবার পর তাঁকে সমাহিত করা হবে।
উল্লেখ্য, শর্মিলী আহমেদ দীর্ঘদিন থেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। চলচ্চিত্রে শর্মিলী আহমেদ নামে তিনি ব্যাপক পরিচিত হলেও তার পারিবারিক নাম ছিল মাজেদা মল্লিক। ১৯৪৭ সালে ৮মে রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন । শর্মিলী আহমেদ রাজশাহী বেতারের নাট্যশিল্পী ছিলেন। ষাটের দশকে প্রথম ঠিকানা চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেও ছবিটি মুক্তি পায়নি।
তার দ্বিতীয় ছবি ছিল পানছি বাওরা । এরপর তিনি আলিঙ্গন, পলাতক,আবির্ভাব, আয়না ও অবশিষ্ট , রুপালি সৈকতে, আগুন, বসুন্ধরা, এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী সহ অর্ধ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তাঁর স্বামী রকিবউদ্দিন আহমেদ ছিলেন তেজগাঁও পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট এর ভাইস প্রিন্সিপাল। পরবর্তীতে শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক হন। রকিব উদ্দিন আহমেদ রুপকার ছদ্মনামে পানছি বাওরা ও পলাতক নামে দুটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন।
বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ওয়াহিদা মল্লিক জলি তাঁর ছোট বোন । একমাত্র মেয়ে তনিমা আহমেদ এক সময় টেলিভিশনে অভিনয় করতেন।