বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮Dedicate To Right News
Shadow

আট বছরে দারাজ

Spread the love

আট বছরে পদার্পণ করল দেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ। নিজেদের যাত্রায় উদ্ভাবন ও ব্যবসায়িক উৎকর্ষে প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে দেশের মানুষের কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে নতুন মাত্রা যোগ করেছে দারাজ। সফলতার আট বছর পদার্পণের মূহুর্তটি অফুরন্ত উল্লাসে মাধ্যমে অবিস্মরণীয় করে রাখতে বিশেষ বর্ষপূর্তি ক্যাম্পইন নিয়ে এসেছে দারাজ বাংলাদেশ। দেশব্যাপী দারাজের অগণিত ক্রেতা ও সহযোগীদের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে এই ক্যাম্পেইন আয়োজন করা হচ্ছে।
দারাজের বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এ ক্যাম্পেইনটি চলবে ৪-১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ক্যাম্পেইনের স্লোগান হচ্ছে ‘৮ বছরের অফুরান উল্লাস ধন্যবাদ, বাংলাদেশ!’।
মাত্র ৫ জন কর্মী এবং একটি ওয়েবসাইট নিয়ে আট বছর আগে যাত্রা শুরু দারাজের। ৭০ লাখের বেশি ক্রেতা ও ৪১ হাজার বিক্রেতা নিয়ে দারাজ এখন দেশের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। দারাজের এই সফলতার পেছনের রয়েছে দেশজুড়ে অসংখ্য ক্রেতা-বিক্রেতা, সহযোগী ও শুভানুধ্যায়ীদের ভালোবাসা ও সহযোগিতা। তাদের এই সহযোগিতাকে স্মরণীয় করে রাখতে আট বছরপূর্তির এই ক্যাম্পেইনটি আয়োজন করা হচ্ছে। ২৫ আগস্ট ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের রূপসী বাংলা গ্র্যান্ড বলরুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ক্যাম্পেইনটির উদ্বোধন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন দারাজ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী বিয়ারকে মিকেলসেন। আট বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদযাপন নিয়ে তিনি বলেন, “দারাজ বাংলাদেশ একটি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান। এটাই দারাজ বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের দক্ষ কর্মীদের মাধ্যমেই দারাজ বাংলাদেশের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ দারাজ গ্রুপের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দারাজ গ্রুপ থেকে এ মার্কেটকে সম্ভাবনাময় হিসেবে আমরা চিহ্নিত করেছি এবং এ দেশের ই-কমার্স অবকাঠামো ও ইকোসিস্টেমের বিকাশে দারাজের শেয়ারহোল্ডাররা আগামী ৩-৪ বছরে এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে আগ্রহী। তরুণ ও ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নের পাশাপাশি আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশে টেকসই ই-কমার্স ব্যবসা ও ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা।”
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দারাজের গ্রুপ সিওও জর্নিকা জাফিরোভা, দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক, চিফ মার্কেটিং অফিসার মো. তাজদীন হাসান, চিফ অপারেটিং অফিসার খন্দকার তাসফিন আলম, চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এএইচএম হাসিনুল কুদ্দুস রুশো, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সাব্বির হোসাইন এবং চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার মো. রিয়াদ হোসেন সহ দারাজের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। এছাড়াও, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েনসার, অভিনেতা এবং মডেলরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, “সাত বছরের দীর্ঘ যাত্রায় দারাজ বাংলাদেশ অনেক মাইলফলক অর্জন করেছে, যা ই-কমার্স খাত এবং দারাজ বাংলাদেশের জন্য সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা স্বল্পসময়ে নিজেদের শীর্ষ অবস্থানে নিতে সফল হয়েছি। আমাদের ৫০ হাজারের বেশি সেলার পার্টনার রয়েছে। এর মাধ্যম, আমাদের বিশ্বাস আমরা দেশজুড়ে ই-কমার্সের পরিধি বিস্তৃত করতে পেরেছি এবং সমাজের রূপান্তর ও ক্রেতাদের অভিজ্ঞতা পরিবর্তনে উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করেছি। এক্ষেত্রে, আলিবাবার বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।”
অনুষ্ঠানে দারাজ বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার মো. তাজদীন হাসান বলেন, “বর্তমানে, দেশের রিটেইল পণ্য বিক্রিতে ই-কমার্স খাতের হিস্যা মাত্র ১-২ শতাংশ। আমাদের দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এক্ষেত্রে ই-কমার্স নিয়েও আমাদের অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। বিগত সাত বছর ধরে, দারাজ দেশজুড়ে ই-কমার্স সেবার বিস্তৃতি এবং অর্থনীতিতে অবদান রাখার লক্ষ্যে ক্রেতাদের অভিজ্ঞতা পরিবর্তনে তাদের সচেতন করে তুলতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে, আমরা আমাদের অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে একটি মেগা ক্যাম্পেইন নিয়ে এসেছি। যার মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকরা আকর্ষণীয় নানা ডিল উপভোগ করতে পারবেন।”
বর্ষপূর্তির আয়োজনকে স্মরণীয় করে রাখতে দুর্দান্ত সব অফার দিয়ে ক্যাম্পেইনটি সাজিয়েছে দারাজ। ক্রেতাদের জন্য দারাজ দিচ্ছে ব্র্যান্ড-ফ্রি শিপিং, মিস্ট্রি বক্স, ফ্ল্যাশ সেলস, হট ডিলস এবং মেগা ডিলস সহ আকর্ষণীয় আরও অনেক অফার। ক্রেতাদের কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করতে দারাজের এই ক্যাম্পেইনে দেয়া হচ্ছে ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড়ের সুযোগ, গেমিফিকেশন গিভঅ্যাওয়ে, ভাউচার, পেমেন্ট অফার, নিউ ইউজার গিফট, ফ্ল্যাশ পাজল চ্যালেঞ্জ, এক্সক্লুসিভ লঞ্চ এবং বিশেষ ইএমআই সুবিধার মতো দারুণ সব অফার।
ক্যাম্পেইনটির সহযোগী স্পন্সর হিসেবে আছে ডেটল, বাটা, ওরাইমো গ্লোবাল, স্টুডিও এক্স, রিয়েলমি, সিঙ্গার, শাওমি এবং লোটো। ব্র্যান্ড পার্টনার হিসেবে আছে ফ্যাব্রিলাইফ, লাক্স, পিউরইট, মোশন ভিউ, লিভিংটেক্স, মটোরোলা, ইনফিনিক্স, রিবানা, ম্যাসকিউলিন, গোদরেজ, হাইয়ার, প্যারাসুট ন্যাচরাল, ফার্নিকম এবং স্কেয়িন। এছাড়াও ইভেন্ট পার্টনার হিসেবে আছে জায়নাক্স হেলথ, লেভিশ বুটিক স্যালন, নাহিলা হেদায়েতের প্রিভে, গালা মেইকওভার এন্ড স্যালন, আনিকা বুশরার স্প্লেন্ডর এবং এশা রুশদির পাউডার রুম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *