
উপন্যাসিক রাজীব মণি দাস একাধারে নাট্যকার, গীতিকার ও নির্মাতা। ইতোমধ্যে অসংখ্য নাটক রচনার মাধ্যমে সু-পরিচিতি পেয়েছেন। সাহিত্যিক হিসেবেও রয়েছে যথেষ্ট সুনাম। বিজ্ঞাপন ও নাট্য নির্মাতা হিসেবে রয়েছে বিশেষ দক্ষতা। স্যাটেলাইট চ্যানেল একুশে টেলিভিশনে ১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রচার শুরু হয়েছে রাজীব মণি দাস রচিত নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘আপন ভাই বনাম সৎ ভাই’। নাটকটি পরিচালনা করেছেন হারুন রুশো। নাটক সহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি দ্য স্টেটমেন্ট এর সঙ্গে।
শুরুতে নতুন ধারাবাহিক সম্পর্কে জানতে চাই?
‘আপন বনাম সৎ ভাই’ ধারাবাহিক নাটকটি সামাজিক প্রেক্ষাপটে রচিত একটি গল্প। যেখানে দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। শুধু পারিবারিক দ্বন্দ্বই নয়, প্রেম-বিরহ থেকে শুরু করে এ নাটকে হাসি-কান্নার পাশাপাশি রয়েছে মজার মজার গল্পও। এক কথায় দর্শকের জন্য সব ধরনের বিনোদনই রয়েছে নাটকটিতে।
আর কি কি নাটক আসছে সামনে?
সম্প্রতি দুটি একক নাটক , ‘কৃপণ বাবা’, ‘আনু চোরা’ শ্যুটিং শেষ হয়েছে। ‘মায়ের ইচ্ছে’, ‘মৌনতার গল্প’ -সহ কয়েকটি নাটকের শ্যুটিং-এর প্রি-প্রোডাকশনের কাজ চলছে। এছাড়াও নতুন একটি বিজ্ঞাপনের কাজও হাতে আছে। শীঘ্রই এর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
নতুন উপন্যাস বা সাহিত্য সম্পর্কে জানতে চাই?
সাধারণত অমর একুশে বইমেলা কেন্দ্রিক উপন্যাস লেখার চেষ্টা করি। কারণ প্রকাশকরা অন্য সময় বই প্রকাশ করতে অনাগ্রহী থাকেন। কেননা, তাদের লগ্নিকৃত অর্থ যেন উঠে আসে সে বিষয়টি তারা বিবেচনা করে।
কি ধরনের গল্প বা উপন্যাস লিখতে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?
প্রেম-ভালোবাসা-বিরহ, শিশু-কিশোর উপন্যাস এবং কিছুটা গোয়েন্দাধর্মী গল্প লিখতে আমার ভালো লাগে।
শিশু-কিশোরদের গল্প সম্পর্কে যদি বিস্তারিত কিছু বলতেন?
আসলে কথায় আছে- ‘আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ’। শিশুরা হচ্ছে কাদামাটি, এদেরকে আপনি যেভাবে গড়বেন, তারা সেভাবেই বেড়ে উঠবে। তাই আমার লেখায় আমি শিশু-কিশোরদের প্রাধান্য দিয়ে থাকি। যাতে করে তারা বই পড়ায় অভ্যস্ত হয়ে উঠে এবং বিনোদনের পাশাপাশি জ্ঞানার্জনও করতে পারে।
আপনাকে প্রায়ই দেশের বাহিরে ভ্রমণ করতে দেখা যায়?
আমরা যারা যে পেশায়ই কাজ করি না কেন, দেশ হোক কিংবা বিদেশ হোক কাজের ফাঁকে যদি রিফ্রেশ না হই, তাহলে কাজে গতি আসবে না। তাই রিফ্রেশমেন্টের জন্য ঘুরতে বের হই। তবে শুধু বিদেশই নয়, দেশের গুরুত্বপূর্ণ দর্শনের স্থানেও ঘুরতে যাই। ভ্রমণ এখন আমার এক ধরনের নেশায় পরিণত হইছে।
সর্বশেষ প্রশ্ন, ভবিষ্যৎ কাজের পরিকল্পনা কি? মানে নিজেকে ভবিষ্যতে কোন পর্যায়ে দেখতে চান?
চাকরিতে প্রবেশ না করে হাতে কলম তুলে নিয়েছি, আর জীবনের শেষ পর্যন্ত সে কলমকেই ধরে রাখতে চাই। অর্থাৎ, জীবনের শেষ নিঃশ্বাস থাকা পর্যন্ত লিখে যেতে চাই: রাজীব মণি দাস