
হিল ই-কমার্স সোসাইটি (হিলস) উদ্যোক্তাদের কর্ম পরিধি বিস্তৃত করার ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে দেশব্যাপী প্রশংসা কুড়িয়েছে। পাহাড় সমতলের নানান পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও মানবিক কর্মকান্ড পরিচালনার ক্ষেত্রেও জোরালো ভূমিকা রাখছে সংগঠনটি।
২০২২ সালে হিলস আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে প্রবর্তন করে “জাগ্রত নারী” সম্মাননা। এ বছর এই সম্মাননা পেলেন মাফরুহা চৌধুরী। তিনি পেশাগত জীবনে একজন কলেজ শিক্ষক। বর্তমানে আইসিটি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন রংপুর পুলিশ লাইন পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে। পাশাপাশি ঐতিহ্যের প্রতি দায়বদ্ধতা ও ভালোবাসার জায়গা থেকে রংপুরের শতরঞ্জি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর মাধ্যমে দেশ বিদেশে শতরঞ্জি বেশ সমাদৃত হচ্ছে।
তাঁর জীবনসঙ্গী সোহেল রহমান রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এর শিক্ষক। রয়েছে দুই কন্যা ফারহিন, রুফাইদা। চাকরি, উদ্যোগ, সংসারের অনেক ব্যস্ততার মাঝেও হিল ই-কমার্স সোসাইটি (হিলস) এর একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছেন মাফরুহা একেবারে শুরু থেকে।
সম্মাননা প্রাপ্তি নিয়ে মাফরুহা চৌধুরী তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন- “এটা ভীষণ সম্মানের ও আনন্দের। একই সাথে চমকে গেছি সম্মাননা স্মারক হাতে পেয়ে। আজ সকাল পর্যন্ত কিছুই জানতাম না। আমি বিস্মিত, অভিভূত। হিল ই-কমার্স সোসাইটি সবসময় প্রাণের মাঝে আছে আর থাকবে। উদ্যোক্তাদের জন্য হিলস একটা ইনস্টিটিউশনে পরিণত হচ্ছে। অনলাইনের বাইরেও বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে সামনের দিনগুলোতে উদ্যোক্তাদের স্থায়ী পরিবর্তনে। হিলস এর প্রতিষ্ঠাতা এডমিন মনি পাহাড়ী আপুর প্রত্যেকটা আইডিয়া ভাবনাসমৃদ্ধ। আমরা সকল এডমিন মডারেটর নির্ভাবনায় তাঁর সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়নে কাজ করি এবং আগামীতেও করে যাব। সকল নারীর ঘর কিংবা বাহিরের সব রকমের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আমার এ সম্মাননাপ্রাপ্তি আমার কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা বাড়িয়ে দিল।”
সম্মাননা প্রসঙ্গে হিলস এডমিন মনি পাহাড়ী বলেন- “হিলস এর জন্ম ২০২১ এর ৪ মে। এখনো দুই বছরও হয়নি। এতো অল্প সময়ে আমাদের প্রাপ্তিগুলো বিস্ময়কর। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় পাওয়া মানুষের নিবিড় সম্পৃক্ততা ও ভালোবাসা। উদ্যোগের বাইরেও আমাদের বেশকিছু কর্মকান্ড রয়েছে। ২০২২ সালে হিলস প্রবর্তিত
“জাগ্রত নারী” সম্মাননা তার মধ্যে একটি। এ বছর এই সম্মাননা প্রদান করা হলো মাফরুহা চৌধুরীকে। এই মানুষটি রাত ১০ টায় ঘুমাতে যাওয়া একজন। আর এখন সবাই ঘুমিয়ে গেলেও সে জেগে থাকে অন্যদের সাফল্য গাঁথা রচনা করতে। আমাদের চারপাশে স্বপ্নবোনা এমন জাগ্রত নারীদের অবদানেই গড়ে উঠছে কাঙ্ক্ষিত বিভেদহীন সমাজের ভীত। তাঁদের অবদানগুলো অন্তরালে থেকে যায়। আর এ কারণেই আমরা এই সম্মাননা প্রবর্তন করি। আর এ বছর মাফরুহা চৌধুরীকে “জাগ্রত নারী” সম্মাননা প্রদান করে ভীষণ আনন্দ বোধ করছি।
এক বাক্যে এ বিষয়ে ঐক্যমতে আসার জন্য হিলস এডমিন ও জুরিবোর্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”
উল্লেখ্য গত বছর হিলস জাগ্রত নারী সম্মাননা পেয়েছিলেন আরেক জাগ্রত নারী মেহনাজ রহমান লিরা।
প্রতি বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এই সম্মাননা প্রদান অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে হিল ই-কমার্স সোসাইটি। অন্যান্য কিছুর মতো অনবদ্য এই সম্মাননা প্রবর্তন ও ধারাবাহিকতার জন্য হিলস ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে।