মঙ্গলবার, মে ৭Dedicate To Right News
Shadow

যৌন নিপীড়ককে বাঁচানোর চেষ্টা করছে জাবি উপাচার্য: রায়হান রাইন

Spread the love

জাবি প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ্ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে যৌন ‘নিপীড়ন’ ও নৈতিক স্খলনের অভিযোগের অধিকতর তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

অধিকতর তদন্ত কমিটির সদস্যদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছা এবং পুরো বিষয়টি নিয়ে গড়িমসি করার প্রেক্ষিতে অধ্যাপক রায়হান রাইন দায় চাপাচ্ছেন সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপর।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “যৌন নিপীড়ককে বাঁচানোর চেষ্টা করছে জাবি উপাচার্য।”

রায়হান রাইন আরও বলেন, “সিন্ডিকেট তো ইশ্বর না, ওই সভা একটা গায়েবি কমিটি কীভাবে করে? যে সমস্যাটা তৈরি হয়েছে সেটার একটা গায়েবানা জানাজা করতে চাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পুরো বিষয়টাকে কবর দিয়ে দিতে চাচ্ছে তারা। এজন্য কিছুই প্রকাশ করতে চাচ্ছে না।”

এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা একটা ফাইল আকারে সব প্রমাণপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিব। এটা রোযার ছুটির আগেই হবে। প্রচলিত বিধি অনুযায়ী যদি সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে আমরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করব।”

এর আগে ৯ মার্চ সিন্ডিকেটের ৩১৩তম নিয়মিত সভায় প্রাথমিক তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন উত্থাপিত হয় বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ।

রহিমা কানিজ বলেন, “সভার এক পর্যায়ে সিন্ডিকেট সদস্যরা প্রতিবেদনের কয়েকটি অস্পষ্ট ব্যাপারে আরও স্পষ্ট হতে চাচ্ছিলো। এজন্য অধিকতর তদন্তের স্বার্থে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি ‘স্পষ্টীকরণ’ কমিটি গঠন করা হয়েছে।”

রেজিস্ট্রার অফিস কার্যালয়ের সূত্র অনুযায়ী, কমিটির আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক কৌশিক সাহা।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের প্রেরিত চিঠির উত্তরে কি জবাব দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, “আমরা জানিয়েছি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং জনিকে সহকারী প্রক্টর থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।”

এদিকে ১ মার্চ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরি কমিশন-ইউজিসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *