বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২Dedicate To Right News
Shadow

চীন দূতাবাসের উদ্যোগে চাঁদপুরে প্রথম স্মার্ট ক্লাসরুম

Spread the love

বাংলাদেশে তরুণদের প্রতিভা বিকাশে একটি প্রকল্প চালু করেছে চীন দূতাবাস। এই প্রকল্পের প্রথম ধাপে শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের সর্বাধুনিক স্মার্ট শিক্ষা উপকরণসমৃদ্ধ একটি স্মার্ট ক্লাসরুম স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে দূতাবাসটি।

উদ্যোগের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে চাঁদপুরের ষোলঘরে অবস্থিত চাঁদপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে উন্নত প্রযুক্তির শিক্ষা সরঞ্জাম প্রদান করা হয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উন্নত অনসাইট ও অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের সুযোগ করে দেবে।

এ উপলক্ষে উক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রদূত (হিজ এক্সিলেন্সি) ইয়াও ওয়েন। এছাড়া হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যান জুনফেং, চাঁদপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ মাহবুবুর রহমান-সহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি বলেন, “বাংলাদেশে এই ভবিষ্যতমুখী উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আমি গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের দূতাবাস ও হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়াকে সাধুবাদ জানাই। স্মার্ট ক্লাসরুমে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের শিক্ষার্থীদের শেখার অভিজ্ঞতাকে আরো সমৃদ্ধ করবে; তাদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ আইসিটি দক্ষতা বিকশিত করবে। আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে এই প্রজেক্ট শিক্ষার্থীদের সাহায্য করবে”।

বাংলাদেশে নিযুক্ত গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রদূত (হিজ এক্সিলেন্সি) ইয়াও ওয়েন বলেন, “বাংলাদেশের ভালো বন্ধু এবং শুভাকাঙ্ক্ষী প্রতিবেশী হিসেবে চীনের সরকার ও জনগণ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে শিক্ষাখাতকে বিবেচনা করেছে। তাছাড়া, চীন বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার অন্যতম শীর্ষ গন্তব্য। মোট ১৪ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশী শিক্ষার্থী চীনে অধ্যয়ন করছেন। ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে উচ্চতর বৃত্তিমূলক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে চীন দূতাবাস। ভবিষ্যতে আমরা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার আরও উন্নত সুযোগ তৈরি করব, যা দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে। পাশপাশি, হুয়াওয়ের মতো চীনের প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণ ও সামাজিক উন্নয়নে এদেশে নিষ্ঠার সাথে বিভিন্ন কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্ব (সিএসআর) পালন করে চলেছে। বাংলাদেশ ও চীনের আন্তসহযোগিতামূলক সম্পর্ক ও বাংলাদেশে হুয়াওয়ের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সম্প্রসারণের প্রতিজ্ঞার প্রতিফলন হিসেবেই এই স্মার্ট ক্লাসরুমটি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে”।

হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান নির্বাহী প্যান জুনফেং বলেন, “চীন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ ডোনেশন প্রজেক্ট বাংলাদেশের শিক্ষাখাতে রীতিমতো বিপ্লব ঘটানোর সম্ভাবনা রাখে। স্মার্ট ক্লাসরুম হল এমন একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের শেখার অভিজ্ঞতা আরো উন্নত করে তোলা হয়। স্মার্ট স্কুল সিস্টেম শিক্ষা প্রক্রিয়াকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার পাশাপাশি অল্প বয়স থেকেই শিক্ষার্থীদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ আইসিটি দক্ষতার বিকাশে সহায়তা করবে। প্রকল্পটি শিক্ষার্থীদের দক্ষ এবং আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করবে, ফলস্বরূপ ভবিষ্যতে তারা বাংলাদেশকে আরো উন্নত অবস্থানে নিয়ে যাবে। প্রকল্পের অংশীদার হতে পেরে হুয়াওয়ে অত্যন্ত গর্বিত”।

চাঁদপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে দুটি আইডিয়া হাব (হুয়াওয়ে’র ইন্টারঅ্যাকটিভ হোয়াইটবোর্ড), সম্পূর্ণ ক্লাসরুমে ওয়াইফাই সুবিধা এবং আইসিটি কোর্স সংশ্লিষ্ট উপকরণ, যেমন – ভিডিও, অনলাইন কোর্স ও শিক্ষামূলক কনটেন্ট যুক্ত অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম-সহ সম্পূর্ণ স্মার্ট ক্লাসরুম সমাধান দান করেছে বাংলাদেশে চীনা দূতাবাস। হুয়াওয়ে শিক্ষকদের ট্যাব প্রদান করেছে এবং ক্লাসরুমকে নতুন করে সাজিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *