সফলতার সঙ্গে প্রথম মেয়াদ শেষ করার পুরস্কার হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক নিযু হলেন গীতিকার সুজন হাজং। তাকে আবারো দুই বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছে সরকার। গত মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রেহেনা আকতার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এই তথ্য জানা যায়।
সুজন হাজং একাধারে কবি, গীতিকার, কলামিস্ট, গবেষক ও অনুবাদক। কবিতা ও গান লেখার পাশাপাশি তিনি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণা করছেন।
সুজন হাজং তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহে হাজং, গারো, কোচ, বানাই, হদি, ডালু ও বর্মণ নৃগোষ্ঠীর বসবাস। তাদের নিজস্ব বর্ণিল সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য আছে। পিছিয়ে পড়া এসব জনগোষ্ঠীর ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশে দ্বিতীয় মেয়াদে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত।
তিনি বলেন, এটা আমার শেকড়। আমি এখানে বেড়ে উঠেছি। এখানকার মানুষের জীবনবোধ, জীবনাচার ও জীবন সংগ্রাম আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাই সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এসব প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক উন্নয়নে কাজ করতে আমি প্রতিশ্রুতিশীল।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সার্কভুক্ত ছয়টি দেশের আটজন শিল্পী সুজন হাজংয়ের লেখা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। পাশাপাশি নন্দিত সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী, নচিকেতা, শুভমিতা, ফাহমিদা নবী, সামিনা চৌধুরী, মেহরীন, প্রিয়াংকা গোপ, বেলাল খান, অবন্তি সিঁথি, লুইপা, কিশোর, সাব্বির, মুহিন, লিজা, পুলক, রন্টি দাস, সুস্মিতা সাহা, অনিমেষ রায়, মাশা ইসলাম, আতিয়া আনিসা সহ নতুন প্রজন্মের অনেকেই তার লেখা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।