- পংকজ ফ্রান্সিস, জাবি প্রতিনিধি
গ্রন্থাগারের উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানালেও শিক্ষার্থীরা বলছেন এখনো প্রতিশ্রুতিতেই গড়াগড়ি খাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের উন্নয়ন কাজ।
নিয়মিত লাইব্রেরিতে পড়তে যাওয়া একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গ্রন্থাগার উন্নয়নে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো তা পূর্ণতা পায়নি। লাইব্রেরিতে বসার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নেই। এছাড়া গ্রন্থাগারের ভেতরে কোন শৃঙ্খলা থাকে না। লাইব্রেরীতে পড়তে এসে অনেকেই গল্প করে পরিবেশ নষ্ট করে। এছাড়া লাইব্রেরির পাশেই নির্মাণকাজ হওয়ায় বাইরে থেকে প্রচুর শব্দ আসে। এতে পড়াশুনার উপযুক্ত পরিবেশ বিঘ্নিত ঘটে। এছাড়া ওয়াসরুম গুলোও নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আতিক হোসেন বলেন, লাইব্রেরিতে বসতে একটা সিট পাওয়ার জন্য ভোর ৫টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। লাইব্রেরির ভেতর অনেকেই কথা বলে। ফলে পড়ার পরিবেশ নষ্ট হয়।
তবে গ্রন্থাগারের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক আইআইটি’র অধ্যাপক শামীম কায়সার বলেন, গ্রন্থাগারের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রথম বর্ষের (৫১ ব্যাচ) নির্বিঘ্নে পড়াশোনা করতে আলাদা একটি কক্ষ বরাদ্দ করা হবে। যেখানে তারা তাদের নিজের আইডি কার্ড দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, এক হাজার পাঁচশত বইয়ে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (আরএফআইডি) ট্যাগ লাগানো হয়েছে। এতে লাইব্রেরী থেকে বই পড়ে বই ফেরত না দিয়ে যেতে গেলে মেশিন অটোমেটিক ভাবে শনাক্ত করে ফেলবে। পাশাপাশি গ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধু কর্ণার সামনের সপ্তাহে চালু করা হতে পারে। এছাড়া আমাদের চারজন লাইব্রেরিয়ানকে অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য ভারতের কিছু লাইব্রেরী পরিদর্শনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বলেন, গ্রন্থাগারের সংকট নিরসনে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় একটি বহুতল গ্রন্থাগার নির্মাণ হচ্ছে। যেখানে স্মার্ট সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট গ্রন্থাগার ও স্মার্ট প্রতিষ্ঠানের বিকল্প নাই।