লিটু করিমের লেখা ও পরিচালনায় দূর্গা পুজোর বিশেষ টেলিফিল্ম ” প্রতিমা বিসর্জন ” তিনজন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেতা অভিনয় করেছেন। এই তিনজন হলেন শতাব্দী ওয়াদুদ, জয়রাজ এবং সাংবাদিক ও অভিনেতা আহমেদ সাব্বির রোমিও।
শতাব্দী ওয়াদুদ ২০১১ সালে গেরিলা চলচ্চিত্রে খল চরিত্রে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত হন। জয় রাজ ২০২২ সালে “লাল মোরগের ঝুঁটি” সালে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত হন। আহমেদ সাব্বির রোমিও জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগীতায় ১৯৮০ দশকে একক অভিনয়ে শিশু শিল্পী হিসেবে জাতীয় ভাবে প্রথম স্থান অর্জন করেন।
গল্পটি কুমার পাড়ার কাহিনী নিয়ে তৈরী । এ পাড়ার প্রায় সবাই মাটির বাসন বানিয়ে জীবন চালায়। নরেন তার দুই সন্তান নিতাই ও নিমাইকে ( জয় রাজ ও আকম হাসান) নিয়ে এপাড়াতেই বসবাস করে। ভালো কারিগর হিসেবে তাদের এলাকায় বেশ সুনামও রয়েছে। দয়ারাম বাবুর দাদা ঠাকুরদা ছিলো এ এলাকার জমিদার। এখন জমিদারি না থাকলেও এলাকার মানুষ তাকে মান্য করে। দয়ারাম বাবুর ( শতাব্দী ওয়াদুদ) একমাত্র কন্যা চন্দ্রমুখী ( সেতু) নরেনের ছেলে নিমাই চন্দ্রমুখীকে পছন্দ করে কিন্তু গরীবের সন্তান বলে কখনো বলতে পারে না। মনের ইচ্ছে মনের ভেতরই পুষে রাখে।
দয়ারাম বাবুর বাড়ীতে এক সময় লক্ষি পুৃৃঁজা হতো। বাবুর পত্নী গত হবার পর বাড়িতে আর কখনো লক্ষি পুঁজা হয়নি। বাবু এবার ঠিক করেছে বাড়িতে আবার লক্ষি পুৃৃঁজা শুরু করবেন। নিমাই ভালো প্রতিমা গড়ে। নিখুঁত হাতের কাজ তাই প্রতিমা গড়ার দায়িত্ব নিমাইকে দেয়। নিমাই লক্ষির প্রতিমা গড়তে গিয়ে চন্দমুখীর মুর্তি গড়ে ফেলে। এটা নিয়ে গ্রামে হৈ চৈ পরে যায়। উত্তেজিত হয়ে যান দয়ারাম বাবু। নিমাইকে চন্দ্রমুখীর মুোর্তি বিসর্জন দিতে বলে। রাজি হয় না নিমাই। গল্পের টানাপোড়নে শেষ পর্যন্ত নিমাই ও চন্দ্রমুখী আত্নহত্যা করে। রয়ে যায় চন্দ্রমুখীর মুর্তি। রাজবাড়ির পাংশা কুমার পাড়ায় সম্প্রতি নাটকটির শুটিং শেষ হয়।