
রহস্য উপন্যাস আর অপরাধ কাহিনী রচয়িতা হিসেবে বিশ্বখ্যাত নাম আগাথা ক্রিস্টি। বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের লেখক তিনি। এমন একজন লেখকের গল্প নিয়ে সিনেমা হতেই পারে। এরইমধ্যে হয়েছেও। গত বছরই মুক্তি পেয়েছে তার উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ছবি ‘ডেথ অন দ্য নাইল’। এক বছরের মাথায় এর সিক্যুয়াল আসছে দর্শকদের সামনে। এবারের ছবির নাম ‘আ হন্টিং ইন ভেনিস’। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাবে অতিপ্রাকৃত রহস্যভিত্তিক এ ছবি। আগাথা ক্রিস্টির জনপ্রিয় উপন্যাস ‘হ্যালোয়েন পার্টি’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘আ হন্টিং ইন ভেনিস’। আগের ছবির মত এ ছবিটিও পরিচালনা করেছেন কেনেথ ব্রানাহ। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাইল অ্যালেন, ক্যামিল কটিন, জেমি ডরনান, টিনা ফে, জুড হিল, আলি খান, এমা লেয়ার্ড, কেলি রেইলি, রিকার্ডো স্ক্যামারসিও এবং মিশেল ইয়েও।
কেনেথ ব্রানাহ এমন এক গোয়েন্দা ফ্র্যাঞ্চাইজি নির্মাণে হাত দিয়েছেন, যা আজকের দর্শকের কাছে উপভোগ্য করে তোলা রীতিমত চ্যালেঞ্জিং। আগাথা ক্রিস্টির এরকুল পোয়ারো পড়ে বড় হওয়া প্রজন্ম সিনেমার পর্দায় তাদের প্রিয় গোয়েন্দাকে কিভাবে দেখতে পছন্দ করবে, তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন পরিচালক-অভিনেতা কেনেথ। ‘ডেথ অন দ্য নাইল’-এ যেমন তিনি পোয়ারোর পূর্ব-ইতিহাস দিয়ে শুরু করেছেন, যে সময়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে লড়ছে সে। সেখান থেকে গল্প এসে পড়ে তিরিশের দশকের শেষ ভাগে। পিরামিডের দেশে ঘনিয়ে ওঠে রহস্য। কাহিনির চলন ও বিস্তার গোয়েন্দা গল্পের প্রেক্ষিতে সরল ও কমবেশি অনুমেয়। তবে প্রথম দৃশ্য থেকেই অসাধারণ সিনেমাটোগ্রাফি ও গ্রাফিক্স ছিলো পর্দায় চোখ আটকে রাখার মতো। পিরামিডের গা বেয়ে উঠে ঘুড়ি ওড়ানো, বিশালাকার স্ফিংসের সামনে বসে ক্যানভাসে তুলি বোলানো, নীল নদের বুক চিরে চলা প্রমোদতরণী-এমন চোখজুড়ানো কিছু দৃশ্যকল্প মিশরের প্রেমে পড়তে বাধ্য করে। স্তব্ধতার মধ্যে বলা সংলাপ যে কতখানি অর্থবহ হয়ে উঠতে পারে, তা কয়েকটি দৃশ্যে ফুটে উঠেছে। যুদ্ধের দৃশ্য, সেনা হাসপাতালের সেট পৌঁছে দেয় এক কল্পরাজ্যে। এবারের ছবির গল্প এগিয়েছে বেলজিয়ামের বিখ্যাত গোয়েন্দা হারকিউলি পাইরোটকে ঘিরে, যার উপর একটি হত্যা রহস্য উন্মোচনের দায়িত্ব পড়ে। আগের ছবির মতো এবারও কেনেথ ব্রানাহ আস্থার প্রতিদান দিবেন বলেই বিশ্বাস সবার। বরং এ ছবিকে অনেকটাই এগিয়ে রাখতে চান পরিচালক এবং অভিনেতা কেনেথ। ছবির মূখ্য চরিত্রে তিনি নিজেই অভিনয় করেছেন। ‘এ ছবির গল্প আরও টান টান এবং গতিময়। চরিত্রগুলো আরও জীবন্ত মনে হবে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দর্শক একটা ঘোরের মধ্য দিয়ে যাবেন।’ এমনটাই বলেছেন তিনি।