গত ২৪ সেপ্টেম্বর প্রয়াত চলচ্চিত্রগ্রাহক ও প্রচার সাংবাদিক মিশুক মুনীরের ৬৪তম জন্ম দিবসে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথমবারের মত মিশুক মুনীর স্মৃতি পুরস্কার চালু হলো।
মিশুক মুনীরের সহকর্মী, অনুসারী, শুভানুধ্যায়ীদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে একটি অনুষ্ঠানে দুইজনকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। মিশুক মুনীরের জনক শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরী ও নাট্যজন লিলি চৌধুরীর স্মৃতির প্রতি উৎসর্গিত ‘লিলি-মুনীর স্মৃতি রক্ষা ট্রাস্ট’ থেকে এই আয়োজন করা হয়।
উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে এবারে সেরা প্রতিবেদক হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন যমুনা টিভির জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শাকিল হাসান ও সেরা চলচ্চিত্রকার হিসেবে পুরস্কার পেলেন চট্টগ্রাম এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন-এর শিক্ষক চলচ্চিত্র নির্মাতা মাসুদুর রহমান। বিচারকমণ্ডলীর পক্ষে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতিআরা নাসরিন।
বিজয়ীদের প্রতিক্রিয়ায় শাকিল হাসান ও মাসুদুর রহমান বলেন, এমন এক মহতী জন ও পরিবারের নামাঙ্কিত পুরস্কার পেয়ে তাঁরা ধন্য ও অভিভূত। তাঁরা সততা ও নিষ্ঠার সাথে তাঁদের নির্মাণকর্ম চালিয়ে যাবার অঙ্গীকার করেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংস্কৃতজন নাসির উদ্দিন ইউসুফ এবং সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতিজন রামেন্দু মজুমদার। লিলি-মুনীর স্মৃতি রক্ষা ট্রাস্ট-এর পক্ষে বক্তব্য রাখেন মিশুক মুনীরের ভাই সংস্কৃতিকর্মী আসিফ মুনীর। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন নাট্যজন ত্রপা মজুমদার।
বক্তাবৃন্দ মিশুক মুনীরের স্মৃতি রোমন্থন এবং সহজাত প্রতিভার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশে আধুনিক প্রচার সাংবাদিকতার পথিকৃৎ হিসেবে মিশুক মুনীর আমাদের সর্বকালের অনুপ্রেরণা। ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণে প্রধান চলচ্চিত্রকারের কী বিশাল ভূমিকা, ‘রানওয়ে’ চলচ্চিত্রে মিশুক মুনীরের ক্যামেরার কাজের উদাহরণ দিয়ে তাঁরা সেটিও ব্যাখ্যা করেন। আয়োজকদের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়, মিশুক মুনীর স্মৃতি পুরস্কার নিয়মিত চালু রাখার পাশাপাশি আরও উদ্যোগ তাঁরা ভবিষ্যতে গ্রহণ করবেন।