নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতির আলোকে গড়ে তুলতে হলে হজরত খানবাহাদুর আহছাউল্লা (র)-কে তরুণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে। এমনকি তাঁর উদারতা, মানবতা সৃষ্টি তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে আমাদের সকলকে একত্রে কাজ করতে হবে।
খানবাহাদুর আহছানউল্লা অসহায়, পিছিয়ে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষেদের মাঝে শিক্ষার আলো জ্বালাতেও অনন্য ভূমিকা পালন করেন।
আজ রবিবার (১৭ ডিসেম্বর’২৩) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার হলে হজরত খানবাহাদুর আহছাউল্লা (র.) এঁর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ্য হিসেবে ঢাকা আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিয়িং আয়োজিত ‘মানবতার সেবায় তারুণ্য শীর্ষক’ সেমিনারে এমন মন্তব্য করেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন , খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) রচিত গ্রন্থ ও কর্মজীবন থেকে তরুণদের সুন্দর জীবন গঠনে শিক্ষা নেয়ার আছে। খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লার আদর্শ ও ধ্যান-ধারণাকে তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতাউর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, নতুন প্রজন্মের সাথে খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র) এঁর জীবন ও সমাজ গঠনে তাঁর যে অবদান সেগুলো সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। তিনি বলেন, ডিজিটাল এই যুগে খানবাহাদুর আহছানউল্লা সম্পর্কে ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপ করে সামাজিক বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে হবে।
সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্য বক্তব্য রাখেন, ঢাবি মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান, অধ্যাপক ড. মোঃ কামাল উদ্দিন, আমরা মানুষ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট শামীমা ইসলাম তুষ্টি, এটিএন বাংলার সংবাদ পাঠিকা শারমিন মিশু। অনুষ্ঠানে তরুণ বক্তা বক্তব্য রাখেন ইয়ুথ ফোরাম সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাসনিম হাসান আবির, এবাদুল হোসেন ও নাসিম হাসান এবং লিও সদস্য শাহরিয়ার হোসেন।
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সহ-সভাপতি আলহাজ্জ প্রফেসর ড. আবু তৈয়ব আবু আহমেদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিয়িং-এর সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা।