ঈদে প্রেক্ষাগৃহে থাকছে নারী পাচারের বিষয় নিয়ে ফুয়াদ চৌধুরী ‘মেঘনা কন্যা’। চারপাশ ঘেরা মেঘনা নদী ঠিক তার মাঝখানে, ছোট্ট একটা দ্বীপের মতো গ্রাম উলানিয়া। শহুরের মেয়ে প্রজ্ঞা এসেছে এই গ্রামে। মনের ভেতর তার মনভাঙার মেঘ, চোখের তারায় মেজাজ হারিয়ে ফেলার ঝিলিক। নাহ, তার একদমই এসব গ্রাম-ট্রাম ভালো লাগছে না। কদিন পরেই তার ক্যাম্পাসে আছে অনুষ্ঠান; সেখানে নাচতে চায়…যদিও তার বয়ফ্রেন্ড ব্যাপারটা ভালো চোখে দেখেনি; তাই বয়ফ্রেন্ডের সাথে একেবারের কাটাকুটি!
একদিকে ব্রেকআপ, অন্যদিকে গ্রামের নতুন পরিস্থিতিতে খাপ-না-খাওয়ানোয় শহরে ফিরতে চায় প্রজ্ঞা; কিন্তু তখনই সে মুখোমুখি হয় গ্রামের সবচেয়ে পুরনো এক ভবনের। কয়েক শ বছর আগে মগরা যখন আক্রমণ চালাতো উলানিয়ায়; সেই আক্রমণ প্রতিহত করতে এই ভবন থেকে ছোঁড়া হতো কামানের গোলা। কিন্তু তারচেয়েও বড় কথা হলো…ভবনের মধ্যে প্রজ্ঞা খুঁজে পেলো টেরাকোটা। সেই টেরাকোটায় কী যে সুন্দর ডান্সের ফর্ম! গ্রামে এমন নাচ নাকি নাচতে পারত একজনই নাম তার হাসি (কাজী নওশাবা )!
শুরু হয় প্রজ্ঞার নতুন এক খোঁজ- কোথায় এই হাসি? গ্রামে বন্ধ কেন নাচ-গান? প্রজ্ঞার এই খোঁজ যুক্ত হয় নায়ক আবিদ। গ্রাম শহরের দুই নারীর শেকল ভাঙার গল্প নিয়ে ফুয়াদ চৌধুরীর পরিচালনায় নির্মিত হয়েছে পূর্ণ দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “মেঘনা কন্যা”।
আনোয়ার আজাদ ফিল্ম‘স ও এস জে মোশনস পিকচার্স প্রযোজিত চলচ্চিত্রটির সহযোগিতায় আছে সুইজারল্যান্ড এবং টেলিভিশন পার্টনার দীপ্ত টিভি। এতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাজী নওশাবা আহমেদ, ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, সেমন্তি দাস সৌমি, সাজ্জাদ হোসেইনসহ অনেকে। সংগীতায়োজনে রয়েছেন চিরকুটখ্যাত সুমী। চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য ও সংলাপ করেছেন ফাহমিদুর রহমান এবং আহমেদ খান হীরক।