সোমবার, মে ২০Dedicate To Right News
Shadow

মানুষের বিরুদ্ধে শিম্পাঞ্জির ভয়ঙ্কর লড়াই!

Spread the love

প্রায় সাত বছর আগে পর্দায় এসেছিলো ‘ওয়ার ফর দ্য প্ল্যানেট অব দ্য এপস’। যেখানে দেখা গিয়েছিলো, অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মানুষের বিরুদ্ধে সিজার নামের এক শিম্পাঞ্জি ও তার বাহিনীর ভয়ঙ্কর লড়াই। একদিকে প্রতিরোধ, অন্যদিকে আক্রমণের মধ্যে তৈরি হতে থাকে মানবিকতার গল্প। সিজারের রাগী চোখ, এপ বাহিনীর আক্রমন এবং তাদের জয়ের সেই সব দৃশ্য ভুলে যাওয়ার কথা নয় আগের ছবির দর্শকদের। বক্সঅফিসে দারুণ সাড়া জাগানো এ ছবি দেখে নড়ে-চড়ে বসেছিলেন বোদ্ধা-সমালোচকরাও। সেই ধারাবাহিকতায় এবার আসছে তার সিক্যুয়েল ‘কিংডম অব দ্য প্ল্যানেট অব দ্য এপস’। প্ল্যানেট অব দ্য এপস রিবুট ফ্র্যাঞ্চাইজির চতুর্থ ছবি এটি। ওয়েস বল পরিচালিত এ ছবিতে অভিনয় করেছেন ওয়েন টিগ, ফ্রেয়া অ্যালান, কেভিন ডুরান্ড, পিটার ম্যাকন, উইলিয়াম এইচ. ম্যাসি প্রমুখ। ১০ মে আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পাবে ছবিটি। একই দিনে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাবে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীভিত্তিক এ ছবি।

মুক্তির ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই দর্শকদের কাছে সিনেমার পোস্টার ও ট্রেলার আলোচনার জন্ম দিয়েছে। চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরির ইউটিউব চ্যানেলে সিনেমার দ্বিতীয় ও ফাইনাল ট্রেলার প্রকাশ করা হয়। ট্রেলারটি প্রকাশের পরপরই দর্শকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় ১০ মিলিয়নের বেশি দর্শক ট্রেলারটি দেখে ফেলে। আর মন্তব্য রিঅ্যাকশন পড়ে ১ লাখ ২৫ হাজারের বেশি। ২ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের শুরুতেই দেখা যায় এপস সিজার বিকট শব্দে চিৎকার করছেন। তার চিৎকার শুনে জঙ্গলে বসবাস করা সাধারণ মানুষদের ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠে। আতঙ্কে সবাই ছুটতে থাকে।

এরপরই শুরু হয় জঙ্গল থেকে ভয়ংকর এই এপস বাহিনীকে তাড়িয়ে দেওয়ার মিশন। যে মিশনের দায়িত্বে থাকে আমেরিকান আর্মি ও সোয়াট টিম। মানুষ এবং এপসের জঙ্গলের রাজত্ব দখলের যুদ্ধ নিয়েই এগিয়ে যাবে সিনেমার গল্প। প্ল্যানেট অব দ্য এপসের জন্য যুদ্ধের ঘটনার ৩০০ বছর পরে, বানর সভ্যতা সেই মরূদ্যান থেকে উদ্ভূত হয়েছে যেখানে সিজার তার সহযোগী বনমানুষদের নিয়ে গিয়েছিল। যখন মানুষ একটি বন্য, আদিম অব¯’ায় ফিরে গেছে। বনমানুষের রাজা প্রক্সিমাস সিজার। নিজেকে গ্রহের সবচেয়ে শক্তিশালী শাসক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য মানব প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চায়। কিš’ উল্টো দিকে নোয়া তা হতে দেবে না। আর এ নিয়েই দ্বন্দ্ব। নোয়ার বাড়িটি সিজার ধ্বংস করে। শুধু তাই নয়, তার বন্ধু এবং পরিবারকেও বন্দি করে সিজার। তাদের উদ্ধার করা এবং গ্রহকে বাঁচানোর জন্য দুর্নিবার লড়াই চলতে থাকে। এ লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কে জয়ী হয় সেটাই দেখার বিষয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *