চলচ্চিত্র নির্মাতা লাবিব ফয়সাল তুরস্কের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং তুরস্ক শিক্ষা বৃত্তির আয়োজনে ‘আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট এওয়ার্ড’ এ প্রামাণ্যচিত্র শাখায় দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ এওয়ার্ড পেয়েছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে তুরস্কে পড়তে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় তিনি ‘SON HAMAL’ ‘শেষ কুলী’ নামের প্রামাণ্যচিত্রে এ পুরস্কার পান। আজ দুপুর ২.৪০ মিনিটে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি কমপ্লেক্সে আয়োজিত এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ‘তুরস্ক শিক্ষাবৃত্তি কমিটির’ প্রধান আবদুল্লাহ এরেন, তুরস্কের উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের প্রধান এরোল অযভার এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের সংস্কৃতি এবং পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ।
লাবিব ফয়সাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে পড়াশোনাকালীন তুরস্কের সরকারি বৃত্তি নিয়ে একই বিভাগে ২০১৫ সালে তুরস্কের সেলজুক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানে পড়াশুনার পাশাপাশি ফিল্মের প্রতি আগ্রহের কারণে স্থানীয় ভিভিন্ন বিজ্ঞাপন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও টিভি চ্যানেলে এ বিষয়ে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ শুরু করেন। সাম্প্রতি পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরে তার নিজের বিজ্ঞাপন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘ফলক’ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। ফলক এরই মাঝে ‘Turkish cooperation and coordination agency– TİKA, আমেরিকান দূতাবাস সহ আরো অনেক দেশি বিদেশি উন্নয়ন সংস্থার সাথে সফল ভাবে কাজ করে চলেছে।
লাবিব এই এওয়ার্ডের ব্যাপারে বলেন, ” এই প্রামাণ্য চিত্রটির সুট আমাদের গ্রামের বাড়িতে হয়। এই কাজের ক্ষেত্রে আমার বাবা ও বোনের সহযোগিতা কখনো ভোলার নয়। সর্বোপরি ফিল্মের মত শক্তিশালী মধ্যমকে পুঁজি করে নিজের গল্প বলতে পরা আর সেই গল্প দেশের গণ্ডি পেড়িয়ে বহির্বিশ্বে যদি প্রশংসা কুড়োয়, এতে নিজের সম্মানের চেয়ে দেশের সম্মান অনেক বেশি বেড়ে যায়”।
‘SON HAMAL’ ‘শেষ কুলী’, রংপুরের বদরগঞ্জ রেল স্টেশন সংলগ্ন কুলীদের যাপিত জীবনই এই প্রামাণ্যচিত্রের উপজব্য বিষয়। এই কুলীদেরকে ব্রিটিশ শাসনামলে ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নিয়ে আসা হয়। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া কুলীরা জীবনের শেষ ভাগে এসে তারা যেন জীবনের হিসেব মেলাতে বসেছে এই প্রামাণ্যচিত্রে
উল্লেখ্য লাবিব ২০২১ সালে স্কয়ার গ্রুপ কর্তৃক আয়োজিত রুচি বিউটিগ্রাম প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে প্রামাণ্যচিত্র বিভাগে প্রথম হন। একই প্রামাণ্যচিত্র তুরস্কের একটি আন্তর্জাতিক ফেস্টিভালেও সমান ভাবে সমাদৃত হয় এবং সেখানেও প্রথম পুরস্কার অর্জন করে।