শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলন-সংগ্রামে সংস্কৃতিকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।আর বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বীজ বপন হয়েছিল মূলত সাংস্কৃতিক আন্দোলনের উপর ভিত্তি করে। ‘৫২ এর ভাষা আন্দোলন ছিল মূলত সাংস্কৃতিক আন্দোলন যা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পরবর্তীতে স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনে রূপ নেয়। বিভিন্ন পর্যায়ক্রমিক দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এটি পরিপূর্ণতা লাভ করে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘প্রগতি নাট্যম’ আয়োজিত কৃতি কবি ও কথাকার এবং বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান বাদল রচিত কাব্য, গল্প ও প্রবন্ধ-গ্রন্থের আলোকে সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-২০২৪ -এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই একেকজন স্বভাব কবি। আমাদের চারপাশের নৈসর্গিক পরিবেশ, নদী, প্রকৃতি, পাহাড়, সমুদ্র প্রভৃতি আমাদের ভাবনা ও মানস জগতকে প্রভাবিত করে, সৃজনশীলতাকে উদ্দীপ্ত করে; জন্ম হয় নতুন নতুন কবি ও শিল্পী-সাহিত্যিকের।
প্রধান অতিথি বলেন, কবি মনিরুজ্জামান বাদল বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, গ্রাম-বাংলা ও প্রকৃতি প্রেমের প্রসন্নতাকে উপজীব্য করে সাহিত্যরূপ দান করেছেন। তিনি সরকারি চাকরির পাশাপাশি স্বকীয়তা বজায় রেখে সাহিত্যচর্চা করে যাচ্ছেন, সৃজনশীল কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। সেজন্য তিনি নিঃসন্দেহে সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। মন্ত্রী এসময় কবি মনিরুজ্জামান বাদলের সাহিত্যকর্ম ও সৃজনশীল প্রয়াসের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।
গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আবুবকর সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রগতি নাট্যম, ঢাকার প্রধান এবং নাট্যকার ও গবেষক ড. জাহারাবী রিপন।
সেমিনার ও আলোচনা পর্বে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কথাসাহিত্যিক রায়হান সিদ্দিক, নাট্যকার ও গবেষক ড. জাহারাবী রিপন, কথাসাহিত্যিক সালেহা সুলতানা এবং কবি ও সমালোচক আবু সাঈদ তুলু।
আলোচনা করেন দি ডেইলি অবজারভার এর সম্পাদকীয় বিভাগের প্রধান শাহরিয়ার ফিরোজ এবং অয়ন প্রকাশন এর প্রকাশক মিঠু কবির। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কৃষ্ণেন্দু সাহা।
অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ পুঁথিপাঠ, খণ্ডনাটক, দলীয় নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশিত হয়।