
অপু মেহেদীর রচনা ও সৈয়দা শামছি আরা সায়েকার নির্দেশনায় ‘উনপুরুষ’ আগামী ২৩শে জুন’২০২৪ রবিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমীর এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হল-এ প্রদর্শিত হবে। প্রদর্শনী শুরু হবে সন্ধ্যা ৭.০০ টায়।
২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় “নবরস” নৃত্য ও নাট্যদল। প্রতিষ্ঠার পর বেশ সময় নিয়েই দলটি মঞ্চে এনেছে তাদের প্রথম প্রযোজনা ‘উনপুরুষ’। এটি একজন আত্মনির্ণয় বিপন্ন মানুষের গল্প। আমাদের তথাকথিত সমাজের নিয়মের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে এক সংকটময় পথে চলতে থাকে তার অনিশ্চিত জীবনযাত্রা।
এ প্রসঙ্গে নাট্যকার অপু মেহেদী বলেন, ‘শুধুমাত্র জন্মসূত্রে প্রাপ্ত লিঙ্গ পরিচয় দিয়েই মানুষের আত্মনির্ণয় ঘটে না। এক্ষেত্রে জেন্ডার বা সামাজিক লিঙ্গ একটা বড় ভূমিকা রাখে। আমাদের সমাজ মানুষের সামাজিক পরিচয়ের কিছু ছকবাধা পরিচয় নির্ধারণ করে রেখেছে। সমাজের এসব নির্ধারিত পরিচয়ের বাইরেও মানুষের পরিচয় রয়েছে। বেড়ে ওঠার সাথে সাথে মানুষ তার অভিজ্ঞতার আলোকে গড়ে ওঠা অনুভূতি দিয়েই ঠিক করে নিতে চায় তার সামাজিক পরিচয়। এই পরিচয় বা আত্মনির্নয়ে যখন বাধা এসে দাঁড়ায় তখনই সে হয়ে ওঠে বিপন্ন। আমাদের চারপাশে এমন অসংখ্য বিপন্ন মানুষ রয়েছে। তাদের কেউ কেউ পরিচয়ের স্বীকৃতির জন্য সোচ্চার হয় আবার কেউ কেউ সমাজের ঘৃণিত রূপ দেখার ভয়ে আমৃত্যু আড়াল করে রাখে নিজেকে। আমাদের সমাজের এই আত্মনির্ণয় বিপন্ন মানুষদের গল্প বলার প্রয়াসই উনপুরুষ’।
নির্দেশক সামছি আরা সায়েকা বলেন ‘সবকিছুরই ভালো-মন্দ দুটি দিক থাকে। সমাজের যেমন ভালো রূপ আছে তেমনি আছে খারাপ রূপও। সেই খারাপ রূপগুলো দেখার ভয়ে মানুষ নিজেকে বদ্ধ করে রাখে অন্ধ কুঠুরির মধ্যে। তাতে কিন্তু খারাপ রূপের শক্তি বাড়তেই থাকে। সমাজের এই খারাপ রূপ মুছে দিতে হলে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হয়। সমাজের মানুষকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হয় অসংগতিগুলো। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই এই নাটকটি করা। নাটকটি দর্শক হৃদয়ে ভিন্নমাত্রার দাগ কাটবে। কেননা এই ধরণের গল্প নিয়ে বাংলাদেশের মঞ্চে তেমন কাজ হয়নি। এই নাটকের গল্প নাটকের অন্যতম মূলশক্তি।
‘উনপুরুষ’ নাটকের নেপথ্যে আছেন — আলো ও মঞ্চ পরিকল্পনা-সাইফুল ইসলাম,আলো সহকারী-মো: মোখলেসুর রহমান, আলো প্রেক্ষাপণ-জাবেদ পাটুয়ারী, পোশাক উপদেষ্টা-ওয়াহিদা মল্লিক জলি, পোশাক পরিকল্পক – সৈয়দা শামছি আরা সায়েকা, সহযোগিতা- জবা, বন্যা, সুকন্যা, পারভীন।পোশাক তৈরি- আঞ্জুআরা বেগম। সংগীত পরিচালক-এবি সিদ্দিক, সংগীত শিল্পী-গোপী দেবনাথ,বন্যা,রামিসা,কথা।সংগীত প্রেক্ষাপণ- হামীম সুলতান। নেপথ্যে কণ্ঠ- রমিজ রাজু।দ্রব্য সামগ্রী- পারভীন আক্তার,জসিম আহমেদ,বন্যা,সুকন্যা, অরূপ। সেট ও দ্রব্য সংরক্ষণ- পলাশ মিয়া।প্রচার ও প্রকাশনা- সাইফ মাহমুদ, মমিনুল হক দিপু, হামীম সুলতান। গ্রাফিক্স ডিজাইন- রফিক উল্লাহ। প্রচার পত্র -মাহাদি হাসান সিমি। প্রযোজনা অধিকর্তা- সাইফ মাহমুদ
নাটকের কলাকুশলী আছেন — ওয়াজিদ, কাশিফ আলফি আহমেদ, তানজীদ ইসলাম শুভ, সৈয়দা শামছি আরা সায়েকা, জয় খান, নুসরাত জাহান বন্যা, সবুজ খান, সুকন্যা সাকিরা, গোলাম মোর্শেদ, সানি, বাঁধন।