পবিত্র ক্বাবা শরীফের সাবেক ইমাম, বর্তমান হারামাইনের সিনিয়র মুহাদ্দিস, মক্কা উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও বিশ্ববরেন্য আলেম ড. শায়েখ হাসান আল বুখারি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আগমন করবেন। এ উপলক্ষে প্রতিবারের ন্যায় এবারেও ফেনীতে ১০তম আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলনের তারিখ ঘোষণা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আগামী ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি (২০২৫) দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন পবিত্র ক্বাবা শরীফের সাবেক ইমাম ড. শায়েখ হাসান আল বুখারি পবিত্র জুমার নামাজের ইমামতি করবেন এবং বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় মুসল্লিদের নিয়ে রবের নিকট মোনাজাত করবেন।
শুক্রবার আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংস্থা বাংলাদেশ-এর নির্বাহী সভাপতি ও রঘুনাথপুর দারুল উলূম মহিউচ্ছুন্নাহ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা সালাহউদ্দিন জাহাঙ্গীর গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংস্থা বাংলাদেশ-এর তত্বাবধনে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার রঘুনাথপুর দারুল উলুম মহিউচ্ছুন্নাহ মাদরাসার উদ্যোগে ও মাওলানা সালাহউদ্দিন জাহাঙ্গীরের আহ্বানে ১০তম আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত মহাসম্মেলনের শেষ দিন জুমার নামাজের আগে বয়ান ও খুতবা পরে জুমার নামাজের ইমামতি করবেন তিনি।
উল্লেখ্য: গত ২৩ আগস্ট শুক্রবার পূর্ব নির্ধারিত শিডিউল অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংস্থা বাংলাদেশ-এর মহাসচিব, বিশ্ববরেণ্য আলেম ও ক্বারী শায়েখ সাদ সাইফুল্লাহ মাদানী হাফিজাহুল্লাহ পবিত্র কাবা শরীফের সাবেক ইমাম, হারামাইনের সিনিয়র মুহাদ্দিস ও মক্কা উম্মুল কুরা ইউনিভার্সিটির ডিন, বিশ্ববিখ্যাত আলেম, শায়েখ ড. হাসান আল বুখারী হাফি’র আমন্ত্রণে ওনার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন।
সাক্ষাৎকালে মুহতারাম মহাসচিব বাংলাদেশ সফরের দাওয়াত দিলে ড. হাসান বুখারী বাংলাদেশ সফরের আশাবাদ ব্যক্ত করেন ও দাওয়াত কবুল করেন এমনটি নিশ্চিত করেছিলেন মুহতারাম মহাসচিব তিনি নিজেই।
মাওলানা সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর জানান প্রতি বছর আন্তর্জাতিক মহাসম্মেলনের প্রধান আকর্ষণ হিসেবে সৌদি আরব থেকে আগত মক্কা শরীফের ইমাম ও বিখ্যাত কোন আলেম উপস্থিত হোন এবং জুমার নামাজের ইমামতি করেন। মক্কার আলেমদের পিছনে নামাজ আদায়ের জন্য ফেনীসহ বাহিরের জেলা থেকেও অগনিত মানুষের ঢল নামে সেখানে। ধারনা করা হয় কয়েক লক্ষ মানুষের সমাবেশ ঘটে পবিত্র জুমার নামাজকে কেন্দ্র করে।
সবশেষ তিনি আরো বলেন, আশা করছি এবছরের আয়োজনটি আরে বেশি সমৃদ্ধ হবে, আরো বেশি উপস্থিতি ঘটবে। সারা বাংলাদেশ থেকে সাধারন মুসল্লিগণ অংশগ্রহণ করবে। এ উপলক্ষে তিনি সম্মেলনের সার্বিক প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে বলেও নিশ্চিত করেছেন।