শুক্রবার, এপ্রিল ১৮Dedicate To Right News
Shadow

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি: আর্থিক ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিতে কঠোর অবস্থান ঘোষণা ও আইন সংস্কারের উদ্যোগ

Spread the love

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দেশের শিল্পকলা চর্চা ও গবেষণার একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। যা সংবিধিবদ্ধ আইন ও প্রবিধানমালা দ্বারা পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নবনিযুক্ত মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ- এর সক্রিয় তত্বাবধানে একাডেমি আরো গতিশীলভাবে এগিয়ে যাবে বলে একাডেমি কর্মকর্তা, শিল্পী ও কর্মচারীরা মনে করেন। এরই মধ্যে মহাপরিচালক ঘোষণা দিয়েছেন বিগত দিনগুলোতে যেভাবে কার্যক্রম সম্পাদিত হয়েছে তার বিষয়ে আইন ও বিধি অনুসরণ করে আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা হবে।

সেই লক্ষে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের নিকট বিশেষ অডিট সম্পন্ন করার জন্য পত্র দেওয়া হয়েছে। সার্বিক তথ্যাদি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এছাড়া প্রশাসনিক নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে ইনভেন্টরির মাধ্যমে কয়েকজন কর্মকর্তার কক্ষে অনুষ্ঠান আয়োজন সংক্রান্ত যে অর্থ পাওয়া গেছে তা একাডেমি ফান্ডে জমা দেয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে কোন অসঙ্গতি আছে কি না তা অভ্যন্তরীণ রিভিউ কমিটির মাধ্যমে যাচাই বাছাই হচ্ছে। যেকোন অনিয়ম দুর্নীতি প্রমাণিত হলে আইন ও প্রবিধানমালা অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এছাড়া বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আইন ও প্রবিধানমালার দুর্বলতার কারণে প্রতিষ্ঠান যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেই বিষয়টি অতীব জরুরি বিবেচনায় এরই মধ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আইন সংস্কারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রবিধানমালা সংশোধনে কমিটি গঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আইন ১৯৮৯ সংস্কার, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পরিষদ পুনর্গঠন, একাডেমির কাজ ও ক্ষমতার গঠনমূলক সংশোধনের লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রের শিল্পী ও শিল্পসমালোচকদের সাথে এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে এরই মধ্যে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ফলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সকলের সহযোগিতায় জনবান্ধব, বহু দল ও মতের অন্তর্ভুক্তিমূলক একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গবেষণা, চর্চা ও সংরক্ষণের মাধ্যমে শেকড়ের সন্ধান করবে এবং বাংলাদেশের শিল্পকলার বৈচিত্র্যকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার প্রয়াস চালিয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *