
এলজি আরডি ও ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফপ্রকল্পের কাজে নিয়মিত দাপ্তরিক ফাইল ওয়ার্ক অব্যাহত রাখা ও মাঠ পর্যায়ে সমন্বিত তদারকি কাজ সম্পন্ন করে জনকল্যাণ সুনিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। মাঠ পর্যায়ের ভূমি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ঘাটতি রয়েছে।এজন্য কেন্দ্রীয়ভাবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ প্রশিক্ষক তৈরি করতে হবে। এসব প্রশিক্ষক জেলা-উপজেলা পর্যায়ে দক্ষ জনবল সৃষ্টি করতে সক্ষম হবেন। এতে করে ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে জনবান্ধব করা সম্ভব।
উপদেষ্টা আজ ভূমি ভবনের সম্মেলন কক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয়ের চলমান বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির পর্যালোচনা সভা ও এলাম্স আয়োজিত‘ভূমি সেবায় সহায়তা প্রদান ও ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা, ২০২৪’ এর খসড়া চূড়ান্তকরণ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ সহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা বলেন, জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের অন্যতম পূর্বশর্ত যুগোপযোগীনীতিমালা ও সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন। তিনি বলেন, কৃষি জমি দিনে দিনে হ্রাস পাচ্ছে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে যে কোন প্রকল্পে অবকাঠামো নির্মাণে একতলা বা দ্বিতল ভবন তৈরির পরিকল্পনা বাদ দিয়ে সর্বদা বহুতল ভবন নির্মাণ পরিকল্পনা গ্রহণের বিকল্প নেই। তিনি গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাব ও অনিয়মের কথা উল্লেখ করে বলেন, বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দিতে প্রায় ২০০ বসত ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে সম্ভাব্য ক্ষয়-ক্ষতির হাত থেকে ঘর বাড়ি রক্ষায় নদী-নালার আশে পাশে বা সম্ভাব্য নদী ভাংগন প্রবণ এলাকায় গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্প নেয়া যাবেনা।