![](https://bn.thestatement24.com/wp-content/uploads/2021/09/IBFB-organized-a-webinar-1024x594.jpg)
আজ ২ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন: গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়ন” শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড- এর পৃষ্ঠপোষকতায় ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ড: মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, মন্ত্রী, কৃষি মন্ত্রণালয়। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (এসএইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহিদুর রশিদ ভূঁইয়া এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বিএইউ)-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের (ইউজিভি) উপাচার্য প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম এবং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হুমায়ুন রশীদ, সভাপতি, আইবিএফবি ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড।
উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের কৃষিখাত নিয়ে কেমন ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, এ সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো আলোচনা করা হয় ওয়েবিনারে। এছাড়াও বক্তারা কৃষিখাতের উন্নয়নে বেসরকারি খাত কীভাবে অবদান রাখতে পারে তা নিয়েও আলোচনা করেন।
স্বাগত বক্তব্যে এম.এস. সিদ্দিকী, লিগ্যাল ইকোনোমিস্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট, আইবিএফবি, কৃষকদের জন্য করা বঙ্গবন্ধুর কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, “কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি দেশের ভূমিহীন কৃষকদের খাস জমি বিতরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছিলেন। এছাড়া কৃষকদের সুবিধার্থে ২৫ বিঘা পর্যন্ত কর মওকুফ এবং ১৯৭৩ সালে ২২ লাখ কৃষকের পুনর্বাসনেরও ব্যবস্থা করেছিলেন। তার আমলে বিভিন্ন ধরনের লো-লিফট পাম্প এবং গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছিল। কৃষকদের হাইব্রিড ধান (আইআর-৮) এবং গমের বীজ বিতরণ করা হয়েছিল যা তখন ফিলিপাইন থেকে আনা হয়েছিল।”
প্রধান অতিথি ড: মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, মন্ত্রী, কৃষি মন্ত্রণালয় বলেন, “কৃষি খাত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অন্যতম ভূমিকা রেখে আসছে । অর্থনীতিতে কৃষি খাতের অবদানের জন্য ২০২০-২০২১ অর্থবছরে জিডিপি দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা। কৃষিখাত যেহেতু দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, তাই বিনিয়োগকারীদের উচিত এই খাতে আরও বেশি করে বিনিয়োগ করা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য জিএমও (জেনেটিক্যালি মোডিফাইড অর্গানিজম)-এর কোনো বিকল্প নেই। এছাড়া, কৃষি পণ্যের বাণিজ্যিকীকরণ এবং ব্র্যান্ডিং-এর জন্যও আমাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া উচিত।”
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম হারুন-অর-রশিদ, বীর প্রতীক (অব:) পরিচালক, আইবিএফবি এবং এসিআই কৃষি ব্যবসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এফ এইচ আনসারি বিশেষ আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন লুৎফুন্নিসা সোউদিয়া খান, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফিন্যান্স), আইবিএফবি।