আজ ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ১৭ তম বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসব ঢাকা, ২০২৪ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে ৩ টি ক্যাটাগরিতে সেরা চলচ্চিত্রের ফলাফল ঘোষনার পাশাপাশি ও বিজয়ীদের নগদ অর্থ , ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে।
যেসব ক্যাটাগরিতে পুরষ্কার প্রদান করা হয়েছে সেগুলো হল:
সেরা আন্তর্জাতিক ফিকশন চলচ্চিত্র: এবারের শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এর সেরা ফিকশন চলচ্চিত্র হিসেবে মনোনীত হয়েছে ফিলিস্তিনি পরিচালক তারিক রিমাউই এর অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র ‘ Zoo’
সেরা আন্তর্জাতিক ডকুমেন্টারি ( নন -ফিকশন) চলচ্চিত্র: এবারের শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এর সেরা নন- ফিকশন চলচ্চিত্র হিসেবে মনোনীত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালক
শাকিব আসরার এর ‘ Allies Welcome’
অন্যদিকে এবারের শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এর সেরা বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের উপর ‘ তারেক শাহরিয়ার বেস্ট ইন্ডিপেন্ডেন্ট শর্ট আওয়ার্ড ‘ এর সেরা চলচ্চিত্রে মনোনীত হয়েছে বাংলাদেশি পরিচালক শক্তি বণিক এর অন্তঋণ।
সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী ওয়াকিলুর রহমান। পাশাপাশি বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. আশানুর রহমান, চিফ ইকোনমিস্ট ও কান্ট্রি বিজনেস ম্যানেজার, সিটি ব্যাংক পিএলসি।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার বক্তব্যে বলেন,” বিগত সময়ে হাসিনা সবাইকে পাশাপাশি কাজ করতে দেয়নি সব সেক্টরে একটা বিভাজনের নীতি চালু করে রেখেছিল । অন্যায়ের বিরুদ্ধে যেই কথা বলেছে তাকেই দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে অথবা গুম করা হয়েছে। হাসিনা সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরাও প্রতিবাদ করেছিলাম, কিন্তু সেটা ছিল মৃদু। আমাদের সংস্কৃতিতে কলকাতার একটা বড় হিজিমনির উপস্থিতি রয়েছে। আমরা সেটার উপর বসে আছি, এটা ভাঙতে হবে। আমরা আগামী দিনে বিগত সময়ে দেশের বাস্তবিক চিত্র তুলে ধরতে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র বানাব, সেগুলো হবে স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ।”
ওয়াকিলুর রহমান বলেন, “সংস্কৃতিতে যুক্ত ব্যক্তিদের রাজনীতি বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত। সংস্কৃতির মধ্যে রাজনীতি কে প্রবেশ করানো উচিত না।”
মো. আশানুর রহমান বলেন, ” সংস্কৃতি আর রাজনীতি আলাদা জিনিস না। সংস্কৃতি কর্মীদেরও রাজনৈতিকভাবে সচেতন থাকতে হবে। তাহলেই সংস্কতিকে রাজনীতি থেকে নিরপেক্ষ রাখা সম্ভব হবে।
এবারের উৎসবটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সিটি ব্যাংক পিএলসি- এর আর্থিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ভেন্যু পার্টনার হিসেবে থাকছে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। সাতদিনের এই উৎসবটি ছিল সবার জন্য উন্মুক্ত।