তুরস্কের বিখ্যাত ধারাবাহিক মুজিজে ডক্টর যা দীপ্ত প্লে‘তে ‘গুড ডক্টর‘ নামে দেখা যাবে ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে।
আলি বেফা একজন তরুণ ডক্টর যে অটিজমের সাথে সাথে সাভান্ট সিনড্রোমেও আক্রান্ত। ফলে সে এক্সট্রা অর্ডিনারি ট্যালেন্ট আর অসাধারণ মেমোরির অধিকারী। অন্তর্মুখী স্বভাবের কারণে আলি মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলে তাই তার শৈশব কেটেছে সহপাঠীদের ঠাট্টা-নিগ্রহ আর সামাজিক উপেক্ষায়। জীবনে তার একমাত্র ভরসাযোগ্য মানুষ ছিল বড় ভাই আহমেত যে সবসময় তাকে আগলে রাখতো।ছোটবেলায় মারা যাওয়া পোষা খরগোশকে সুস্থ করতে পারবে ভেবে তাকে নিয়ে এক ক্লিনিকে গিয়েছিল আলি, সেখানেই পরিচয় ডক্টর আদিলের সাথে যিনি পরে তার আইনি অভিভাবক হয়ে ওঠেন। একমাত্র ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় সে নিজেকে একজন সার্জন হিসেবে তৈরি করার লক্ষ্য নির্ধারণ করে। শিক্ষা জীবন শেষ করে কর্মজীবনের শুরু হয় বেরহায়াত হসপিটালে অ্যাসিস্ট্যান্ট সার্জন হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে কিন্তু সেখানেও শুরু হয় নানা প্রতিকূলতা। সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় সিনিয়র সার্জন ডক্টর ফেরমান যিনি আলিকে এই কাজের জন্য উপযুক্ত মনে করেন না। ক্যারিয়ারে ডক্টর আদিলের পাশাপাশি আলিকে স্বাভাবিক জীবনে নিয়ে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যায় সহকর্মী ডক্টর নাযলি। আলি নিজের অস্বাভাবিক জীবন থেকে কখনও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে সার্জন হতে পারবে কিনা দেখতে চোখ রাখুন দীপ্ত প্লেতে।
চরিত্র ও কন্ঠাভিনেতার তালিকা: খায়রুল আলম হিমু (আলী বেফা), মোর্শেদ সিদ্দিকী মরু (ফেরমান), জয়শ্রী মজুমদার লতা (নাযলি), মেরিনা আক্তার মিতু (কিভিলজিম), রুবাইয়া মাতিন গীতি (বেলিয), সজিব রায় (তানজু), তারভীর নাহিদ খান (দেমির), নাদিয়া ইকবাল (আজেলিয়া), শারমিন মৃত্তিকা (সেলভী), মির্জা জান্নাতুল আফরিন (গুলিন) এবং মশিউর রহমান দিপু (আদিল)।
কন্ঠাভিনয়ের সার্বিক তত্বাবধানে আছেন জয়শ্রী মজুমদার লতা।
মাহমুদুল হাসান মুরাদের তত্ত্বাবধানে ধারাবাহিকটির অনূদিত সংলাপ রচনা ও সম্পাদনায় কাজ করেছেন দীপ্ত টিভির নিজস্ব সংলাপ রচয়িতার দল।
“গুড ডক্টর” ধারাবাহিকটির ডাবিং প্রজেক্ট ডিরেক্টর মোর্শেদ সিদ্দিকী মরু এবং প্রযোজনা করেছেন মাসুদ মিয়া।