শনিবার, মার্চ ২২Dedicate To Right News
Shadow

রমিন মজুমদারের “শরৎ ও ইভাংকার সাথে জাপানে”

Spread the love

রমিন মজুমদারের বন্ধু শরৎ চৌধুরী তখন পিএইচডি করছে জাপানের হিরোশিমা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কোভিড হানা দিচ্ছে দেশে দেশে। এয়ারপোর্টগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বন্ধুর কাছে যাওয়ার গল্প আর নিজের দেখা জাপানকে ঘিরে এই বই । জাপান—প্রাচ্যের সূর্যোদয়ের দেশ। এর প্রতিটি শহর যেন একেকটি কাব্যিক স্বপ্নের বাস্তব রূপ। হিরোশিমার নীরব স্মৃতিস্তম্ভ, ওসাকার আধুনিকতা, কোবের সমুদ্রের নরম বাতাস আর টোকিওর অগণিত উজ্জ্বল আলোকছটা—এই ভ্রমণ যেন পাঠকের সামনে নতুন করে খুলে দেয় এক অদ্ভুত, বিস্ময়কর পৃথিবীর দরজা।
রমিন মজুমদারের লেখা শরৎ ও ইভাংকার সাথে জাপানে কেবল ভ্রমণ কাহিনি নয়, এটি সময়, ইতিহাস ও মানুষের গল্প। লেখকের বর্ণনায় জাপানের পথে পথে বয়ে যাওয়া প্রকৃতির রং যেন ছবির মতো ফুটে ওঠে। হিরোশিমার বিধ্বস্ত অতীত আর নতুন করে বেঁচে ওঠার গল্প যেমন আমাদের ভাবায়, তেমনি টোকিওর ব্যস্ত নগরজীবন আমাদের শোনায় এক আধুনিক সভ্যতার প্রতিধ্বনি।
লেখকের দুই সঙ্গী—শরৎ ও ইভাংকা—এই যাত্রায় কখনো পাঠককে হাসায়, কখনো চিন্তায় ফেলে দেয়। তাদের সঙ্গে পাঠকও হারিয়ে যায় জাপানের ঐতিহ্যবাহী রাস্তায়, মন্দিরের সিঁড়িতে, কিংবা সুউচ্চ টাওয়ারের ওপরে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্তের রঙিন আকাশে।
জাপানের শহরগুলোকে নতুন দৃষ্টিতে দেখা, তার সংস্কৃতি, মানুষের জীবন ও নীরব ভাষা বোঝার জন্য এই বই হতে পারে এক চমৎকার সহচর। যারা ভ্রমণপ্রেমী, ইতিহাস অন্বেষণকারী কিংবা কেবলই মনোরম লেখার পাঠক—তাদের জন্য শরৎ ও ইভাংকার সাথে জাপানে হতে পারে একটি অনবদ্য অভিজ্ঞতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *