পৃথিবীর আদিকাল থেকে ভূতের গল্প চলমান। তবে বাস্তবে ভূতের অস্তিত্ব নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। তবে মানুষ ভয় পেতে ভালোবাসে- এ কথা মনোবিজ্ঞানীরাও মনে করেন। ভয়ে দু’হাত দিয়ে চোখ ঢেকে ফেললেও আঙুলের ফাঁক দিয়ে সাংঘাতিক দৃশ্যটা দেখতেও যেন ভুল করে না। তাই তো তাবৎ বিশ্বে সিনেমাপ্রেমীদের কাছে ভৌতিক ছবির এত জনপ্রিয়তা। গা ছমছমে ভূতের ছবি নির্মাণে হলিউডের পরিচালকদের জুড়ি নেই।
আর এ সময়ের শীর্ষ হরর ছবির পরিচালকদের তালিকায় যার নাম অবধারিতভাবে প্রথম দিকে চলে আসে তিনি জেমস ওয়ান। ‘স’, ‘অ্যাকোয়াম্যান’ এবং ‘দ্য কনজুরিং’ সিরিজ দিয়ে তিনি মাতিয়ে দিয়েছেন দর্শকদের। তাই হরর সিনেমাপ্রেমীদের অন্যতম আস্থার নাম তিনি। দর্শক রীতিমত অপেক্ষায় থাকেন তার সিনেমার জন্য। করোনাকালেও তিনি ঝড় তুলেছেন বক্স অফিসে। গত জুনে মুক্তি পেয়েছিলো তার পরিচালনায় ‘কনজুরিং’ সিরিজের সবশেষ ছবি ‘দ্য কনজ্যুরিং: দ্য ডেভিল মেইড মি ডু ইট’। মুক্তির প্রথম দিনেই সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড গড়েছে ছবিটি। প্রথম দিনেই এই ছবি আয় করে নিয়েছে প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলার। এ যাবৎ ছবিটির আয় দাঁড়িয়েছে ২০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি।
এই সাফল্যের রেশ কাটতে না কাটতেই দর্শকদের সামনে নতুন ছবি নিয়ে এসেছেন জেমস ওয়ান। এবারের ছবির নাম ‘ম্যালিগন্যান্ট’। ১০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। একই দিনে বাংলাদেশেও ছবিটি মুক্তি দিচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্স।
জেমস ওয়ান নিজেই ‘ম্যালিগন্যান্ট ম্যান’ নামে একটি প্রাফিক উপন্যাস লিখেছিলেন, যা ২০১১ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। গল্পটি ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী অ্যালান গেটসকে কেন্দ্র করে, যিনি মৃত্যুর অপেক্ষায় দিন গুনছেন। তবে, তার ক্যান্সারযুক্ত টিউমারটি প্রকৃতপক্ষে এমন একটি পরজীবী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে যা গেটসকে অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা দেয়। মানবজাতির চামড়ার নীচে লুকানো একটি অশুভ গোপন সমাজ আবিষ্কার করে গেটস দেশের দূষিত পরিকল্পনা বন্ধ করতে তার অনন্য শক্তি ব্যবহার করার জন্য নিজেকে নিয়োজিত করে।
মূলত এই গল্পটিকেই সিনেমার পর্দায় আনছেন জেমস ওয়ান। অভিনয় করেছেন অ্যানাবেল ওয়ালিস, ম্যাডি হেসন, জর্জ ইয়াংসহ আরও অনেকে। ছবির ট্রেলার প্রকাশের পর থেকে দর্শকদের আগ্রহ বেড়ে চলেছে। নির্মাণে জেমস ওয়ান যে তার নামের প্রতি সুবিচার করেছেন সেটা আঁচ করা যায় ট্রেলার দেখে। ধারণা করা হচ্ছে এ ছবিটিও তার সাফল্যে আরেকটি পালক যুক্ত করবে।