বুধবার, এপ্রিল ২৩Dedicate To Right News
Shadow

প্যালিয়েটিভ কেয়ার প্রতিষ্ঠার জন্য নীতিমালা, জাতীয় কৌশল এবং নির্দেশিকার জরুরি প্রয়োজন

Spread the love

মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসি কনফারেন্স রুমে মমতাময় নারায়ণগঞ্জ প্রকল্পের শিখন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ” মমতাময় নারায়ণগঞ্জ প্রকল্পের শিখন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা : বাংলাদেশে একটি সমন্বিত বয়স-সংবেদনশীল সহায়ক প্যালিয়েটিভ কেয়ার মডেল গঠন” শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে প্রকল্পের প্রভাব ও ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি) প্রোগ্রাম, আয়াত এডুকেশন এবং বিএসএমএমইউ-এর সহযোগিতায় এই শিখন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভাটি আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. রিজওয়ানুর রহমান। এনসিডিসি-ডিজিএইচএস প্রোগ্রাম ম্যানেজার-১ ডা. মো. নুরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউ প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে এনসিডিসি-ডিজিএইচএস এর ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. সজিব রায় অতিথিদের স্বাগত জানান। প্রকল্পের অর্জন, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে উপস্থাপনা করেন বিএসএমএমইউ-এর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোস্তফা কামাল চৌধুরী (আদিল) এবং আয়াত এডুকেশনের ডিরেক্টর প্রোগ্রামস লায়লা করিম। এ সময় “মমতাময় নারায়ণগঞ্জের পথচলা” শীর্ষক একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়, যেখানে কমিউনিটি পর্যায়ে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সেবা সংযুক্ত করার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।

প্রফেসর ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ বাংলাদেশে প্যালিয়েটিভ কেয়ারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বিএসএমএমইউ প্যালিয়েটিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এ. কে. এম. মতিউর রহমান ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এ.এফ.এম. মুশিউর রহমান, আয়াত এডুকেশনের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইমরান চৌধুরী, বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. ফাহিম আরিফ, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেডিক্যাল অফিসার ডা. নাফিয়া ইসলাম এবং অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, নীতিনির্ধারক ও স্টেকহোল্ডারদের অবশ্যই প্যালিয়েটিভ কেয়ার সংক্রান্ত নীতিমালা, জাতীয় কৌশল এবং নির্দেশিকা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিতে হবে। একটি সুসংগঠিত নীতিমালার কাঠামো ব্যতীত প্যালিয়েটিভ কেয়ার সেবার প্রাপ্যতা, গ্রহণযোগ্যতা ও মান নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। জাতীয় কৌশল প্রণয়নের মাধ্যমে প্যালিয়েটিভ কেয়ারকে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সাথে সংযুক্ত করা যাবে, যাতে স্বাস্থ্যকর্মী, সেবাদানকারী ও কমিউনিটি সদস্যরা যথাযথ প্রশিক্ষণ ও সহায়তা পান। সুস্পষ্ট নির্দেশিকা প্রদান করা হলে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে একটি কাঠামোগত, মানসম্মত ও সুসংগঠিত ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। এই মৌলিক উপাদানগুলো ছাড়া প্যালিয়েটিভ কেয়ারের জন্য একটি টেকসই ও সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই সকলের জন্য মর্যাদাপূর্ণ ও সহানুভূতিপূর্ণ প্যালিয়েটিভ কেয়ার নিশ্চিত করতে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
অনুষ্ঠানের শেষে সভাপতি ডা. মো. নুরুল ইসলাম প্যালিয়েটিভ কেয়ারে অংশীদারিত্ব ও সক্ষমতা বৃদ্ধির উপর জোর দেন। লায়লা করিম, আয়াত এডুকেশনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সকল অংশগ্রহণকারী ও সহযোগীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *