
স্বাধীনতা দিবসের দিন দুপুর ১:০৫ মিনিটে এবং রাত ৭:৫০ মিনিটে চ্যানেল আই দুই খন্ডে প্রচার করবে বিশেষ টেলিফিল্ম ‘জমশের আলীর এপিটাফ’। হারুন রশীদ এর রচনায় টেলিফিল্মটি নির্মাণ করেছেন গোলাম হাবিব লিটু। এতে অভিনয় করেছেন প্রাণ রায়, সুষমা সরকার, মো. বারী, ম, আ. সালাম, জুলফিকার চঞ্চল, গোলাম মাহমুদ প্রমুখ।
গল্প সংক্ষেপ : ১৯৭২ সাল। কিশোর সন্তান আকরামকে সাথে নিয়ে চেগারের বেড়ায় ঘেরা করে একটি সমাধিলিপি লাগাচ্ছিল যুবতি আছিয়া খাতুন। অদূরে দাঁড়িয়ে তা দেখছিল ৪/৫ জন বিকশোর-কিশোরী এবং মধ্যবয়সী ২/৩ জন পুরুষ ও নারী। সন্তা টিনের সদাধিলিপিতে কাঁচা হাতে লেখা: ‘তোমার রক্তের বিনিময়ে পেলাম স্বাধীনতা। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জমশের আলী, মৃত্যু- ৯ নভেম্বর ১৯৭১।’ আছিয়া খাতুনের কাছে এগিয়ে আসে এক নারী। সে আছিয়াকে পরামর্শ দেয়: মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে যাও, সেইখানে মুক্তিযোদ্ধাগো সার্টিফিকেট দেওয়া হইতেছে। ছলেসহ মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে গিয়ে আশাহত হয়ে ফিরে আসে আছিয়া খাতুন। কমান্ডারের সাফ কথা- তাদের সাথে যুদ্ধ করেনি জমশের আলী। মুক্তিযোদ্ধাদের যে ইউনিটের সাথে সে ছিল, সেই ইউনিটের কমান্ডার জমশের আলীর সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করবে। জমশের আলী কোনো ইউনিটে ছিল না জেনে কমান্ডার বলে- তাহলে তাকে মুক্তিযোদ্ধা সনদ দেবে কীভাবে?
আছিয়া যায় এসডিওর কাছে। এসডিও বলে, এটা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও রাজনৈতিক নেতাদের বিষয়। অনেক খোঁখবর করে ও ঘুরে আছিয়া যায় যে মুক্তিযোদ্ধাদের বাঁচাতে নিজের জীবন দিয়েছিলম সেই দলের কমান্ডারের কাছে। আছিয়ার আব্দার শুনে ক্ষেপে যায় কমান্ডার। তার বক্তব্য, জমমের ্লাীর নির্বুদ্ধিতা ও পাগলামীর কারণে একটুর জন্য মিলিটারিদের হাদে ধরা পড়তে যাচ্ছিল তারা। কমান্ডারের সাফ কথা- জমমের আলী তার পাগলামীর খেসারত ছিয়েছে। তাকে মুক্তিযোদ্ধা বলা যায় না কোনোভাবেই।
অবশেষে আছিয়া খাতুন এক নেতার কাছে যায় স্বামীর মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতির জন্য। কমান্ডারের মতো একই কথা বলে নেতা। গল্প এগুতে থাকে।