
ঈদ উল ফিতরের ছুটির দিনগুলোতে যাতে চিকিৎসা ব্যবস্থার কোনো ঘাটতি না হয় সে জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম। সে অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের বহির্বিভাগ রোগীদের সুবিধার্থে ২৯ মার্চ শনিবার ও ২ এপ্রিল, বুধবার খোলা ছিল। শনিবার ও বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বহির্বিভাগে দুই সহস্রাধিক রোগীর চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন বিএমইউ এর চিকিৎসকবৃন্দ। এছাড়া প্রতিদিনই বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ইনডোর ও জরুরি বিভাগ প্রচলিত নিয়মে খোলা রয়েছে এবং সেখানে ইনডোরে চিকিৎসাধীন রোগীদের ও জরুরি বিভাগে আগত রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে। হাসপাতালের জরুরি ল্যাব কার্যক্রম সেবাও চালু রয়েছে।
২৯ মার্চ শনিবার, ঈদুল ফিতরের দিন ৩১ মার্চ সোমবার ও ২ এপ্রিল, বুধবারসহ প্রায় প্রতিদিনই মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম হাসপাতালে এসেছেন এবং রোগীদের চিকিৎসাসেবার খোঁজ-খবর নিয়েছেন। এ সময় বিএমইউ এর সম্মানিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নোমান মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন, শিশু হেমাটোলজি অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ আনোয়ারুল করিম, শিশু নেফ্রোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সৈয়দ সাইমুল হক, অতিরিক্ত পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. হাসনাত আহসান সুমন, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. মোঃ আবু নাসের, মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের একান্ত সচিব-১ ডা. মোঃ রুহুল কুদ্দুস বিপ্লব, মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের একান্ত সচিব-২ মোঃ লুৎফর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ঈদের দিন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের নির্দেশে বিএমইউতে চিকিৎসাধীন ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধারাসহ সকল রোগীদের জন্য উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া ঈদের দিন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম মহোদয় শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগ, শিশু নেফ্রোলজি বিভাগে চিকিৎসাধীন শিশুদের ঈদের উপহার দেন। এছাড়াও বিএমইউতে চিকিৎসাধীন ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধাদেরও সাথেও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।