
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আজ ৬ এপ্রিল ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস ২০২৫’ উদযাপিত হতে যাচ্ছে। তারুণ্যের শক্তি ধারণ করে ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস ২০২৫’ উপলক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, দেশি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, ক্রীড়া ফেডারেশন, অ্যাসোসিয়েশন, বোর্ড, ক্রীড়া সংগঠকসহ বিস্তর কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এবারের প্রতিপাদ্যঃ ‘তারুণ্যের অংশগ্রহণ, খেলাধুলার মানোন্নয়ন’।
আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবসের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এবারের ক্রীড়া দিবসের প্রতিপাদ্য “তারুণ্যের অংশগ্রহণ, খেলাধুলার মানোন্নয়ন” নির্ধারণ করা হয়েছে। খেলাধুলা শিশু ও তরুণদের মেধা ও মনন বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এর মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব, শৃঙ্খলাবোধ, অধ্যবসায়, দায়িত্বজ্ঞান ও কর্তব্যপরায়ণতার সৃষ্টি হয়। দেশ বদলের প্রত্যয়ে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশের এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে পুনর্জীবিত করতে দেশব্যাপী “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫” উদ্যাপন করেছে। সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত মূল্যবোধের মেলবন্ধনে আয়োজিত এই উৎসবে তরুণরা দেশ পুর্নগঠনে তাদের সৃজনশীলতা, মেধা, যোগ্যতা ও মননশীলতার স্বাক্ষর রেখেছে।
সময়ের পরিক্রমায় দেশের ক্রীড়াঙ্গনের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। পাশাপাশি ক্রীড়া অবকাঠামোর বুনিয়াদ শক্ত হয়েছে। রাজধানী থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ক্রীড়ার ব্যাপ্তি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের সকল উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে ১২৫টি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মিত হয়েছে। আরও ২০১টি উপজেলায় এরুপ মিনি স্টেডিয়ামের নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পাশাপাশি ০৪টি বিভাগীয় স্টেডিয়াম, ৬৪টি জেলায় ৬৮টি জেলা স্টেডিয়ামসহ দেশব্যাপী ১৮টি সুইমিংপুল, ১০টি কিট ইনডোর স্টেডিয়াম, ৭টি ক্রীড়া কমপ্লেক্স, ৬টি অন্যান্য প্রকৃতির পা স্টেডিয়াম ইত্যাদি ক্রীড়া অবকাঠামোর উপর দেশের সামগ্রিক ক্রীড়াক্ষেত্র সক্রিয় পদচারণায় বিভোর রয়েছে। এ সকল কর্মকান্ডের প্রতিটিতে রয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বলিষ্ঠ ছোঁয়া।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস উপলক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচিসমূহ:
• র্যালী ও আলোচনা সভা: আজ সকাল ৯টায় র্যালী ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তন হতে র্যালী শুরু হয়ে বাংলাদেশ সচিবালয়ের প্রধান গেটের সামনে থেকে ঘুরে জিরো পয়েন্ট হয়ে জাতীয় স্টেডিয়ামে শেষ হবে। র্যালী শেষে সকাল ১০টায় জাতীয় স্টেডিয়ামে সুবিধাবঞ্চিত (বস্তিবাসী) অনূর্ধ্ব-১৭ শিশুদের ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধন শেষে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অডিটোরিয়ামে প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
• যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সকল দপ্তর, সংস্থা কর্তৃক দিববসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় একসাথে উদযাপন করবে।
• সকল ক্রীড়া ফেডারেশন/বোর্ড/এসোসিয়েশন কর্তৃক দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে স্ব-স্ব কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
• ক্রীড়া জগত’ পত্রিকায় রঙ্গিন বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করা হবে।
• প্রত্যেক বিভাগ, জেলা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা দিবসটি উদযাপনের জন্য র্যালী, আলোচনা সভা ও প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করা হবে।
• দিবসের প্রতিপাদ্য মোবাইলের ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে প্রচার করা হবে।
• জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে ০২ (দুই)টি বাংলা পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে।
• ঢাকা মহানগরে অবস্থিত সুবিধাবঞ্চিত অনূর্ধ্ব-১৭ শিশুদের ফুটবল টুর্ণামেন্টের আয়োজন করা হবে। ঢাকা মহানগরকে উত্তর ও দক্ষিণ এই ০২ (দুই) ভাগে ভাগ করে টুর্ণামেন্টের ফিচার তৈরি করা হয়েছে। উদ্বোধনী ও ফাইনাল খেলা জাতীয় ষ্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। বাকী খেলাগুলো মোহাম্মদপুর শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।