বুধবার, এপ্রিল ২৩Dedicate To Right News
Shadow

 হেলথ প্রমোশন ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি

Spread the love

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ব্যাখ্যা অনুযায়ী শুধু নিরোগ থাকাটাই ‘স্বাস্থ্য’ নয়, বরং শারীরিক, মানসিক, ও সামাজিকভাবে সুস্থ জনগণই পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রের উন্নয়ন কর্মকান্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। স্বাস্থ্যকে শুধু চিকিৎসা ব্যবস্থার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সামগ্রিক স্বাস্থ্যখাতের দিকে নজর দেয়া জরুরি। সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আইন ও নীতিমালাগুলোর সমন্বয়, বাস্তবায়ন এবং মনিটরিং এর জন্য হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন ‘থিংক ট্যাংক’ হিসেবে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। স্বাস্থ্য সচতেনতা বৃদ্ধি ও জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে তরুণদের দক্ষতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশের স্বনামধন্য ৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২০ জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে ১১ এপ্রিল ২০২৫, মাসব্যাপি হেলথ প্রমোশন ইন্টার্নশিপ-২ এর আনুষ্ঠানিক সমাপনি অনুষ্ঠিত হয়।

­­­ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর পরিচালক গাউস পিয়ারীর সভাপতিত্বে এবং কমিউনিকেশন অফিসার শানজিদা আক্তারের সঞ্চালনায় উক্ত আয়োজনে মতামত প্রকাশ করেন হেলথ ব্রিজ ফাউন্ডেশন অব কানাডার সিনিয়র উপদেষ্টা দেবরা ইফরইমসন, ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনির্ভাসিটি অব বাংলাদেশ এর বিভাগীয় প্রধান (পাবলিক হেলথ) মো: শরিফুল ইসলাম, আমেরিকান ইর্ন্টান্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি অব বাংলাদেশের সহকারী অধ্যক্ষডা. ইফাত তাসনিম হক অরিণবাংলাদেশ ইউনির্ভাসিট অব হেলথ সায়েন্সসের সহযোগী অধ্যাপক পলাশ চন্দ্র বণীকজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক (পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফর্মেটিক) আয়েশা আহমেদইনডিপেনডেন্ট ইউনির্ভাসিটি অব বাংলাদেশ এর বিভাগীয় প্রধান (স্কুল অব ফার্মেসি এন্ড পাবলিক হেলথ) জিনাত জাবিন হোসেন এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর স্বাস্থ্য অধিকার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সৈয়দা অনন্যা রাহমান প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, আজকের তরুণ প্রজন্মই আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দেবে। এক্ষেত্রে একটি সুস্থ ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার প্রতি রাষ্ট্রের সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে, বিশেষ করে প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবায় সরকারের বিভিন্ন খাতের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো যেতে পারে।

আয়োজনে সন্মানিত শিক্ষকবৃন্দ বলেন, এই ইর্ন্টানশীপ প্রোগ্রাম শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত করবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে পাবলিক হেলথ বিষয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্জনের পরেও কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত। তবে আমাদের দেশে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গঠিত হলে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে পাবলি হেলথ এক্সপার্টদের নিজস্ব ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। পাশাপাশি তারা হেলথ প্রমোশন বিষয়টিকে এগিয়ে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।

অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীবৃন্দও এই ধরণের জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন সম্পর্কিত সেশনে অংশগ্রহণ করতে পেরে আনন্দিত এবং হেলথ প্রমোশনের ধারণা অন্যান্যদের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। ন্টার্নশিপ শেষে শিক্ষার্থীদের দক্ষতার স্বীকৃতি হিসেবে ওর্য়াক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টরে পক্ষ থেকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *