শনিবার, মে ১৭Dedicate To Right News
Shadow

পিলখানা হত্যাকান্ডে শহীদ এর নামে পিলখানায় “শহীদ নুরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্স” এর নামকরণ

Spread the love

২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পিলখানায় বিজিবির সুইমিং কমপ্লেক্স আমার শহীদ কেন্দ্রীয় সুবেদার মেজর নুরুল ইসলাম এর নামে “শহীদ নুরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্স” নামকরণ করা হয়। স্বীকৃতি স্বরূপ নামকরণ করায় শহীদের সন্তান আশরাফুল আলম হান্নান বিজিবির ডিজি এবং বিজিবির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ ধরনের স্বীকৃতি যে কোনো বাহিনীর একজন সদস্যকে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে বলে মনে করি।

‘পিলখানায় সেদিন বিডিআর জওয়ানেরা হত্যাকাণ্ডের পক্ষে, তারা খুঁজে খুঁজে সেনা কর্মকর্তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করে চলেছেন। ওই অবস্থায় কোনো কোনো বিডিআর সদস্য হয়তো এ হত্যাকাণ্ড সমর্থন করেননি। আবার জওয়ানদের সামনে এগিয়ে যাবারও সাহস করেননি। কিন্তু এর মধ্যে বিডিআরের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সুবেদার মেজর নুরুল ইসলাম ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধ ও সেনাবাহিনীর অফিসারদের বাঁচাতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন। এর স্বীকৃতি হিসেবে পরে বাংলাদেশ সরকার তাকে শহীদের মর্যাদা দিয়েছে।’

স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় দরবারে যোগ দিতে দেরি হয়ে যাবে- এ আশঙ্কায় নুরুল ইসলাম সকালে নাশতা না খেয়েই বাসা থেকে বের হয়ে যান। দরবার হলে জওয়ানেরা হত্যাকাণ্ড শুরু করার পর অনেকে যেখানে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছিলেন, সেখানে কেন্দ্রীয় সুবেদার মেজর নুরুল ইসলাম এগিয়ে যান সশস্ত্র জওয়ানদের প্রতিরোধ করতে। বিদ্রোহে বাধা দেয়ায় বিদ্রোহীরা মশারির লোহার স্ট্যান্ড দিয়ে পিটিয়ে তারপর ব্রাশফায়ার করে নৃশংসভাবে হত্যা করে মুক্তিযোদ্ধা এ বিডিআরের কেন্দ্রীয় সুবেদার মেজরকে।’

তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত অন্যান্যের মতো তার বাবার মরদেহ গণকবর থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। পরে ওই বছরের ৪ মার্চ লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরলক্ষ্মী গ্রামের বাড়িতে তার বাবার মরদেহ দাফন করা হয়। পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে নুরুল ইসলামের এ বীরত্বের কথা। হত্যাকাণ্ডের ছয় মাস পর একমাত্র বিডিআর সদস্য কেন্দ্রীয় সুবেদার মেজর নুরুল ইসলাম রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদের মর্যাদা পান। ২০০৯ সালের ২০ আগস্ট নুরুল ইসলামের কবরে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয় এবং পরবর্তীতে বিজিবির সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক ‘‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদকে’’ ভূষিত হন।’

মো. আশরাফুল আলম হান্নান বলেন, ‘নিষ্ঠাবান এ সুবেদার মেজর কর্মজীবনে চারবার ডিজি পদক পেয়েছেন। পাশাপাশি অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে সরকারি খরচে পবিত্র হজ্জ্বব্রত পালনের সুযোগ দেয়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *