বাংলা ভাষার প্রথম ডিজিটাল স্যাটেলাইট টেলিভিশন ‘চ্যানেল আই’ পথচলার ২২ বছর পার করতে যাচ্ছে ৩০ সেপ্টেম্বর। ১ অক্টোবর থেকে ২৩ বছরের পথচলা শুরু হবে চ্যানেল আই-এর। এবারের স্লোগান হৃদয়ে বাংলাদেশ নিয়ে ‘স্বাধীনতার ৫০-এ, চ্যানেল আই ২৩-এ’।
এ উপলক্ষে ১ অক্টোবর দেশের শীর্ষ দৈনিকগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে। সেখানে চ্যানেল আইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণী দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চ্যানেল আই-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর এবং পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ। ক্রোড়পত্রে বিশেষ লেখা লিখেছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা। চ্যানেল আইকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন বিভিণœ অঙ্গণের বিশিষ্ট জনেরা। ১ অক্টোবর রাত ১২.০১ মিনিটে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে তৈরী মঞ্চে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে নিয়ে চ্যানেল আই পরিবারের সদস্যরা বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে প্রথম প্রহরের একটি দীর্ঘ কেক কাটবেন। ১ অক্টোবর দিনভর চ্যানেল আই’র পর্দায় থাকবে মুগ্ধকর পরিবেশনা।
এসকল পরিবেশনার মধ্যে থাকবে ১ অক্টোবর সকাল ১১:০৫ মিনিট থেকে দিনব্যাপী দেখানো হবে চ্যানেল আই স্টুডিও থেকে উৎসব উদ্যাপনের নানা আয়োজন নিয়ে সরাসরি সম্প্রচার ‘স্বাধীনতার ৫০ এ চ্যানেল আই ২৩’। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করবেন আমীরুল ইসলাম ও শহিদুল আলম সাচ্চু। বিকেল ৩:০৫ মিনিটে প্রচার হবে আজম খানের রচনা ও শুভ্রত চক্রবর্তীর পরিচালনায় বিশেষ টেলিফিল্ম ‘জলরঙের মানুষ’। এতে অভিনয় করেছেন মম, ইমন, শেলী আহমেদ, সঞ্জয় রাজ প্রমুখ। সন্ধ্যা ৬:২৫ মিনিটে প্রচার হবে মুকিত মজুমদার বাবুর পরিকল্পনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনায় প্রকৃতি ও জীবন এর বিশেষ আয়োজন অ্যাডভেঞ্চার অ্যারাউন্ড দ্যা ওয়ার্ল্ডের এবারের পর্ব ‘যুক্তরাষ্ট্রের জীব বৈচিত্র নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান’। রাত ৮টায় রয়েছে ভিকি জাহেদের রচনা ও পরিচালনায় আরফান নিশো ও মেহজাবিন চৌধুরীর প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘পুনর্জন্ম-২’।
এছাড়া ২ অক্টোবর রাত ৯:৫০ মিনিটে প্রচার হবে শাইখ সিরাজ এর পরিকল্পনা, উপস্থাপনা ও পরিচালনায় চ্যানেল আইয়ের ২৩ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে হৃদয়ে মাটি ও মানুষ-এর বিশেষ পর্ব ‘মাটির নায়ক’। ৩ অক্টোবর রাত ১০ টায় রয়েছে শাকিলা জেসমিনের পরিচালনায় চ্যানেল আইয়ের বার্তা বিভাগ নির্মিত বিশেষ অনুষ্ঠান ‘করোনাকালে সংবাদ জীবন’। ৪ অক্টোবর রাত ১০ টায় দেখানো হবে তাহের শিপনের পরিচালনায় বাংলাদেশ সরকারের মেগা প্রকল্পের উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে প্রামাণ্য অনুষ্ঠান ‘উন্নয়ন সহযোগী চ্যানেল আই’।
উন্নয়নশীল বাংলাদেশের ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের গঠনমূলক ও সৃজনশীল বিকাশের ইতিহাসে চ্যানেল আই-এর এই অগ্রযাত্রা উজ্জল এক দৃষ্টান্ত। ১৯৯৯ সালের ১ অক্টোবর পথচলা শুরু হয় চ্যানেল আই-এর। ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’ চেতনা নিয়ে পথচলার ২৩ বছরে সৃজনশীলতা ও গৌরবের প্রশ্নে অনন্য পরিচয় নিয়ে দাঁড়িয়েছে চ্যানেল আই। দেশপ্রেম, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকার জায়গাটুকুতে প্রাণান্ত তৎপর চ্যানেল আই। তাই পথচলার প্রথম উচ্ছারণ ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’ অনেক আগেই ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীর সবকটি মহাদেশে বিশ্বভরা বাঙালির মাঝে। গণমাধ্যম হিসেবে চ্যানেল আই ‘বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের’ এক সক্রিয় প্রতিনিধি। তাই চ্যানেল আই এর আরেকটি স্লোগান ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ, প্রবাসেও বাংলাদেশ’। বাংলা ভাষার টেলিভিশনে যা কিছু নতুন, যা কিছু প্রথম তার পেছনে চ্যানেল আই। চ্যানেল আই তার প্রতিটি আয়োজনের মধ্য দিয়ে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে গড়েছে এক সেতুবন্ধন। নতুনত্বের অভিযানে চ্যানেল আই বিরামহীন।
যে দায়বদ্ধতা নিয়ে শুরু হয়েছিল পথচলা, সেখান থেকে এক চুলও সরেননি চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নিষ্ঠাবান কর্মীরা। যাদের প্রতিদিনের প্রয়াসেই টেলিভিশনে সূচনা হয় একেকটি নতুন অধ্যায়ের, নতুন ধারার। পথচলার এই সময়ে চ্যানেল আই পরিবার কামনা করে বিশ্বভরা বাঙালির অবিরত ভালবাসা, এ ভালবাসা অক্ষুণœ থাক বছরের পর বছর।
২৩ বছরের স্লোগান : ১ অক্টোবর ১৯৯৯ (হৃদয়ে বাংলাদেশ)। তৃতীয় বর্ষ ২০০২ (হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ)। এগারো বর্ষ ২০০৯ (হৃদয়ে বিশ্বাস, হৃদয়ে বাংলাদেশ)। বারো বর্ষ ২০১০ (প্রতিদিন হাজারো রঙের ভিড়ে, লাল সবুজের বীজ বুনে যাই)। তের বর্ষ ২০১১ (যুগপূর্তির আনন্দে)। চৌদ্দ বর্ষ ২০১২ (বাঙালির চেতনার বাতিঘর)। পনের বর্ষ ২০১৩ (লাল সবুজ আমাদের শক্তি)। ষোল বর্ষ ২০১৪ (তারুণ্যেও ষোল)। সতের বর্ষ ২০১৫ (স্বর্ণালী সতের)। আঠারো বর্ষ ২০১৬ (আঠারোর জয়ধ্বনি)। উনিশ বর্ষ ২০১৭ (উনিশের উচ্ছ্বাস)। বিশ বর্ষ ২০১৮ (কোটি প্রাণে মিশে আমরা এখন বিশে)। একুশ বর্ষ ২০১৯ (গর্বের একুশ বছর)। বাইশ বর্ষ ২০২০ (সামনে এগিয়ে যাই)। তেইশ বর্ষ ২০২১ (স্বাধীনতার ৫০-এ, চ্যানেল আই ২৩)।