৮ জুলাই সকালে না ফেরার দেশে চলে যান বরেণ্য অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদ। তার মৃত্যুতে সংস্কৃতি অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সকল স্তরের মানুষজন তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছেন। এক শোকবার্তায় নাট্যজন মামুনুর রশীদ বলেন, “আজ সকালে একেবারে আকষ্মিকভাবে আমাদের নন্দিত,শ্রদ্ধেয় অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদের আকষ্মিক মৃত্যুতে হতবাক হয়ে গেলাম। শুনেছিলাম তিনি কোলন ক্যনসারে ভুগছিলেন এবং
আশা করেছিলাম তিনি দ্রুতই ফিরে আসতে পারবেন। শর্মিলী আহমেদের সাথে আমাদের পরিচয় ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে। তিনি তখন চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত হন। তার স্বামী চলচ্চিত্র পরিচালক রাকিব উদ্দিন আহমেদের ছবিতে অভিনয় করে তার শিল্পযাত্রা শুরু হয়। তার আগে তিনি রাজশাহী বেতারে ও পরে ঢাকা বেতারে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করে প্রশংসা অর্জন করেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর বেতারে, টেলিভিশনে, চলচ্চিত্রে ও মঞ্চে বহু নাটকে অভিনয় করে খ্যতির শীর্ষে পৌছান। তার পিতা প্রয়াত নাট্যশিল্পী-পরিচালক তফাজ্জল মাস্টার, রাজশাহীতে একজন খ্যতিমান মঞ্চ পরিচালক ছিলেন। তার ভগ্নি ওয়াহিদা মল্লিক জলি এবং ভগ্নিপতি রহমত আলী দুজনেই খ্যতির সাথে অভিনয় করছেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন। তিনি টেলিভিশন নাটকে ‘শর্মিলী মা’ হিসেবে খুবই পরিচিত ছিলেন। সুঅভিনয়ের প্রতি আগ্রহ, নিরঅহংকারী, সদালাপি এবং সহানুভূতিপ্রবন হ্রদয় নিয়ে তিনি সবার কাছে অত্যন্ত প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। তার মৃত্যুতে সমস্ত ইন্ডাস্ট্রি গভীর শোক ও বেদনায় স্মরণ করছে।”