- কামরুজ্জামান মিলু
এই তো চেয়েছিলাম । এই দৃশ্য তো দেখার জন্য অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম আমরা । কারণ বাংলা সিনেমা মানেই তো ছিল একটা সময় সিনেমা হলে দর্শকের ভীড়। সিনেমার নানা দৃশ্যপট নিয়ে মাসের পর মাস বিভিন্ন সময়ে আলাপ। সিনেমায় হিট গান বার বার শোনা এবং অন্যকে সিনেমা দেখার জন্য বলা। সাজগোজ করে পরিবার নিয়ে. বন্ধু বান্ধব মিলে নতুন সিনেমা দেখার জন্য সিনেমা হলের পথে যাত্রা । সেই স্বাদ পূরণ করছে ‘পরাণ’ । শনিবার বিকেলে মিরপুর সনি স্কয়ারের স্টার সিনেপ্লেক্সে দেখার সুযোগ হলো সিনেমাটি।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান লাইভ টেকনোলজিকে এমন সুন্দর সিনেমা উপহার দেবার জন্য সর্বপ্রথম ধন্যবাদ জানাতে চাই । এমন হিট ছবি উপহার দেবার জন্য ছবির প্রযোজক হিসেবে বিশেষে ধন্যবাদ জানাই ইয়াসির আরাফাত এবং মো. তামজিদ অটুল ভাইকে।
শরীফুল রাজ
একজন অভিনয় শিল্পীর দীর্ঘদিন মানুষের মনে দাগ কাঁটার মত একটি চরিত্র লাগে। সেই চরিত্র পেয়ে গেছে রাজ এ সিনেমায় । পরাণ সিনেমায় রোমান চরিত্রে দীর্ঘসময় ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে থাকবেন এই অভিনেতা । দুর্দান্ত অভিনয় । লম্বা পথ হোক সফলতার । ধরে রাখুক নিজেকে লম্বা রেসের ঘোড়া হিসেবে মিডিয়াতে । শুভকামনা রাজের জন্য ।
বিদ্যা সিনহা মিম
প্রতিটি দৃশ্যে মিমের লুক চোখে লেগে ছিল । মেকাপ ছাড়া এত ন্যাচারাল অভিনয় মিমের ক্যারিয়ারে নতুন মাত্রা যোগ করলো । দারুণ অভিনয় করে প্রমাণ করেছেন মিম একজন ভালো অভিনেত্রী । অনন্যা চরিত্রে দারুণ অভিনয় করেছে মিম । অভিনন্দন ।
ইয়াশ রোহান
ইয়াশের অভিনয় ভালো ছিল । দিন দিন ভালো কাজ করছে ইয়াশ। তাঁর জন্য শুভকামনা রইলো ।
এছাড়া শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজী আপা, নাছির ভাই, অপু, বন্ধু পিয়ালসহ সকলে বেশ দূর্দান্ত অভিনয় করেছেন। এক কথায় বললে সিনেমার প্রতিটি চরিত্রকে সুন্দরকরে উপস্থাপন করেছেন পরিচালক ।
সিনেমার গান
‘চলো নিরালায়’ ও ‘ধীরে ধীরে’ গান দুটির দৃশ্যায়ন সুন্দর, ভালো লেগেছে আমার। বিশেষ করে ‘চলো নিয়ালায়’ গানটি তো এখন মুখে মুখে। গানটির গীতিকার জনি হক, শিল্পী অয়ন চাকলাদার ও আতিয়া আনিশাকে ধন্যবাদ জানাই। সংগীত পরিচালক নাভেদ পারভেজ ভাইকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি এমন সুন্দর গান উপহার দেবার জন্য ।
‘ধীরে ধীরে’ গানের গীতিকার রবিউল ইসলাম জীবন ভাইকে ধন্যবাদ জানাই আরেকটি ভালো গান উপহার দেবার জন্য । সংগীতশিল্পী লুইপার গাওয়া গানটি ভালো লেগেছে। গানের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন ইমন চৌধুরী। লুইপার সঙ্গে গানটিতে দ্বৈত কণ্ঠও দিয়েছেন ইমন। সকলের জন্য শুভকামনা রইলো।
রায়হান রাফি
এমন একটি ঘটনাকে ঘিরে সিনেমা নির্মাণের সিদ্ধান্ত ও সাহস দেখানোর জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে ঘটনাকে সিনেমায় রুপধারণ এবং দৃশ্যধারণে- পরিচালনায় মুন্সিয়ানা দেখানোর জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ঈদে এমন দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দেবার জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি। আরও সুন্দর সিনেমা সামনে উপহার দেন এই প্রত্যাশা রইলো।
সিনেমার পেছনে কাজ করা সকল কলাকুশলীর জন্য শুভকামনা রইলো। ‘পরাণ’ আমাদের সিনেমা। হলে এসে সিনেমাটি দেখুন। বাংলা সিনেমার জয় হোক।
[কামরুজ্জামান মিলু: চলচ্চিত্র সাংবাদিক]