![](https://bn.thestatement24.com/wp-content/uploads/2022/10/received_1192745908256107-1024x571.jpeg?v=1666688844)
যে কোনো বিনোদন ছবির প্রাণ হলো ছবির গান। ঢাকায় নির্মিত চলচ্চিত্রের নির্মাতারা চলচ্চিত্র সংগীতের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। চলচ্চিত্রের সংগীতে সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালকদের গুরুত্ব ও অবদান অনস্বীকার্য। আমাদের দেশে নির্মিত চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালক ও সুরকার আজাদ রহমানের অনেক অবদান রয়েছে। আজাদ রহমান চলচ্চিত্রের গানে শাস্ত্রীয় সংগীত, উচ্চাঙ্গ সংগীত, রাগস্ত্রী, ঠুংরী, পাশ্চাত্য ভঙ্গিমা, পাশ্চাত্য সুর, বাদ্যযন্ত্র দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। তিনি আমাদের দেশে অনেক বড় মাপের একজন সুরকার ও সংগীত পরিচালক ছিলেন বলে আজকের সেমিনারে বিশিষ্ট আলোচকগণ মনে করেন।
বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সেমিনার হলে আজ সকালে অনুষ্ঠিত হয় ‘চলচ্চিত্র সংগীতে আজাদ রহমান’ শীর্ষক সেমিনার। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষক মো. রাসেল রানা। প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন ‘চলচ্চিত্র সংগীতে আজাদ রহমান’ শীর্ষক গবেষনা কর্মের তত্ত্বাবধায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী মো. খুরশীদ আলম, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক কাজী হায়াৎ, বিশিষ্ট গীতিকবি ও চলচ্চিত্র পরিচালক মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের পরিচালক ড. মো: মোফাকখারুল ইকবাল। সেমিনার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো: নিজামুল কবীর। এ ছাড়াও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট পরিচালক ও গবেষকগণ।
আগামী ২৭, ৩০ অক্টোবর বাংলাদেশে নারী নির্মাতার চলচ্চিত্রে নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে দেশাত্ববোধক গানের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ ও ১, ৩, ৭, ৯ নভেম্বর হুমায়ুন আহমেদের চলচ্চিত্রের শিল্পরুপ, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে লোকউৎসব: নান্দনিক পরিসর ও তাত্ত্বিক পর্যালোচনা, সত্তর দশকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র: শিল্পরূপ ও সাংস্কৃতিক প্রভাব এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র শীর্ষক সেমিনার গুলো অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সেমিনার হলে।