সেন্টার ফর আর্কিওলজিক্যাল স্টাডিজ (সিএএস) এবং জেনারেল এডুকেশন বিভাগ, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)- যৌথভাবে ‘দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহাসিক স্মারক পুনরায় পরিদর্শন’ বিষয়ক একটি সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারটি ইউল্যাবের স্থায়ী ক্যাম্পাসে ৪ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়।
ইউল্যাবের উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমানের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সেমিনার শুরু হয়। তিনি বক্তব্যে ‘সেন্টার ফর আর্কিওলজিক্যাল স্টাডিজ (সিএএস) এর তাৎপর্য তুলে ধরার পাশাপাশি এপিগ্রাফির গুরুত্ব এবং ইতিহাসের পুনর্পাঠের জন্য এপিগ্রাফির প্রয়োজনীয়তার উপর আলোকপাত করেন।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সুস্মিতা বসু মজুমদার ‘মৌর্য অনুসন্ধান এবং সমসাময়িক নথি’ শিরোনামে বক্তৃতা রাখেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে মৌর্য সা¤্রাজের নানাদিক প্রসঙ্গে বিশেষত সম্্রাট অশোক এবং তাঁর রাষ্ট্রনীতি, নৈতিকতা, শিক্ষা এবং মহাস্থানগড়ের শিলালিপির সঙ্গে সমসাময়িক অন্যান্য শিলালিপির সাদৃশ্য এবং বৈসাদৃশ্য তুলে ধরেন। সেমিনারের দ্বিতীয় বক্তা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডঃ সায়ন্তনী পাল আর্কিওলজির উপর একটি বইয়ের অনুবাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। বি.ডি চট্টোপাধ্যায় এর ‘প্রারম্ভিক মধ্যযুগীয় গ্রামীণ বসতি ও সমাজ’ বইটি তিনি অনুবাদ করেন। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুল মোমিন চৌধুরী। তিনি তাঁর সময়ের কাজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন এবং ইতিহাসের কাজের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
আলোচনার শেষে উপস্থিত শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে একটি প্রশ্ন/উত্তর পর্বের আয়োজন করা হয়। সেমিনারটি ইউল্যাবের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত রূপ পায়। সবশেষে ইউল্যাব জেনারেল এডুকেশন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুসনে জাহান সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ করেন।