সোমবার, মে ২০Dedicate To Right News
Shadow

জাতীয় পর্যায়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন শেষ হলো আজ

Spread the love

“চিত্রাঙ্গদা” পরিবেশনার মধ্য দিয়ে আজ শেষ হলো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান। ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আজ ১০ মে ২০২৪ সমাপনী দিনের আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল ১০.০০টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে।

‘সোনার বাংলার স্বপ্ন ও বাস্তবতা: রবীন্দ্রনাথ থেকে বঙ্গবন্ধু’ প্রতিপাদ্যে আলোচনায় স্মারক বক্তব্য প্রদান করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: শাহ্‌ আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব খলিল আহমদ এবং সভাপতিত্ব করেন প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান এমপি। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত আয়োজনে অতিথিদের স্বাগত জানান বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারত সরকারের পদ্মশ্রী সম্মাননা প্রাপ্ত, বরেণ্য রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ড. রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, “বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্রনাথ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সাথে সবসময় রবীন্দ্র রচনাবলী থাকতো। রবীন্দ্রনাথের দর্শন, মানবতা বোধ নানাভাবে বঙ্গবন্ধু তাঁর বক্তৃতায় উচ্চারণ করেছেন, যখনই প্রয়োজন হয়েছে তিনি রবীন্দ্রনাথের আশ্রয় নিয়েছেন। একইভাবে অজানাকে জানার রহস্যটা রবীন্দ্রনাথের কাছে পরিপূর্ণ হয়েছে পূর্ববঙ্গে এসে। বাউলদের চিন্তা দর্শন, তাদের গান, আধ্যাত্মবাদ কবিকে পরিপূর্ণ করে। তাদের সাহচর্যে এবং পূর্ববঙ্গের ধানক্ষেত, মাঠ, কৃষক, প্রাকৃতিক পরিবেশে কবি নিজেকে খুঁজে পেয়েছিলেন।”

তিনি আরো বলেন “কবির আধ্যাত্ম ভাবনা, দার্শনিকতা, মানবতা ও বিশ্বভাবনায় ছাপ ফেলেছিলো পূর্ববঙ্গ, বাংলাদেশ যেমন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের কাছে ঋণী তেমনি তিনিও পূর্ববঙ্গের কাছে ঋণী”।

সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান এমপি বলেন “কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কেবল বিশেষ দিনগুলোতে স্মরণে সীমাবদ্ধ না রেখে আমাদের দৈনন্দিন যাপিত জীবনে তাঁর দর্শন, সাহিত্য ভাবনা অনুসরণ ও চর্চা করতে হবে।”

এরপর সমাপনী সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় সমবেত সংগীত ‘সখা মোদের বেঁধে রাখো প্রেমডোরে’ এবং ‘আমি মারের সাগর পাড়ি দেব’ পরিবেশন করে সুরের ধারা। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশন করে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নৃত্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ১ ঘন্টার এ রবীন্দ্র পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় ৩ দিনব্যাপী আয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *