সোমবার, ডিসেম্বর ২Dedicate To Right News
Shadow

তামাক কোম্পানীর হস্তক্ষেপ থেকে শিশুদের রক্ষা করুন

Spread the love
  • রেজাউর রহমান রিজভী

সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দেশে তামাক কোম্পানীগুলো যেভাবে নানা প্রকার কুটকৌশলে তাদের ব্যবসার প্রসার করছে তাতে আগামী প্রজন্ম বলা যায় রীতিমতো হুমকির মুখে রয়েছে। অথচ আজকের শিশুই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। ফলে আজকের দিনের শিশুটিকে টার্গেট করলে আগামী দিনে তামাক কোম্পানীর নিয়মিত ক্রেতা হিসেবেও হয়তো তাকে দেখা যেতে পারে। আর এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই শিশুদেরকে প্রলুব্ধ করে, তাদের হাতের নাগালের মধ্যে তামাকজাত পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। আবার তামাকপণ্যের সহজলভ্যতাও একটি বড় সমস্যার কারণ। কারণ এতে যে কোন শিশুই তামাকপণ্য কিনতে পারছে। স্কুল কলেজের আশেপাশে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা ছাড়াও লোকাল দোকানগুলোতে অবাধে তামাকপণ্য কেনার সুযোগ থাকায় ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুরা খুব সহজেই তামাকপণ্যের প্রতি আসক্ত হবার সুযোগ পাচ্ছে। অথচ বিষয়টি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো উদাসীন।
বিশ^জুড়ে প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর প্রধান আটটি কারণের ছয়টির সাথেই তামাক জড়িত। গ্লোবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস)-এর রিপোর্ট মোতাবেক, তামাক ব্যবহারকারীর প্রায় অর্ধেক মারা যান তামাকের কারণে। তামাক ব্যবহারকারীদের তামাকজনিত রোগ যেমন হৃদরোগ, স্ট্রোক, সিওপিডি বা ফুসফুসের ক্যান্সার হবার ঝুঁকি ৫৭% বেশি এবং তামাকজনিত অন্যান্য ক্যান্সার হবার ঝুঁকি ১০৯% বেশি। একারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ১ লক্ষ ৬১ হাজারেরও বেশি মানুষ তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার জনিত রোগে মৃত্যুবরণ করেন।
প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে ৩৫% তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করেন। সংখ্যার হিসেবে যা সাড়ে তিন কোটিরও বেশি। আবার ১৩ থেকে ১৫ বছরের অপ্রাপ্তবয়স্করাও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার থেকে পিছিয়ে নেই। শতকরার হিসেবে সেটিও প্রায় ৬.৯%।
যারা ধূমপান করেন না, কিন্তু পরোক্ষভাবে ধূমপানের ক্ষতির শিকার হন, এমন মানুষের সংখ্যার তা প্রায় ৪ কোটি। অথচ এটি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন ততটা নই যতটা হওয়া উচিত ছিল।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ৫৬তম সম্মেলনে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার জন্য ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) কনভেনশনে বাংলাদেশ ১৬ জুন, ২০০৩ সালে স্বাক্ষর এবং ১০ মে, ২০০৪ সালে অনুস্বাক্ষর করেছে।
এরপর ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সরকার এফসিটিসির আলোকে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫’ প্রণয়ন করে। এরপর ২০১৩ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হয় এবং এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়।
তামাক নিয়ন্ত্রণ ও নির্মুলের বিষয়টি আরো ভালো ভাবে সবার সামনে নিয়ে আসেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি দক্ষিণ এশিয়া স্পিকার্স সম্মেলনের সমাপনী ভাষণে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাক ব্যবহার নির্মূল করার ঘোষণা দেন। এ ঘোষণাটি এতটাই যুগোপযোগী ও প্রাসঙ্গিক ছিল যে, তামাকবিরোধী সকল সংস্থা সহ সর্বক্ষেত্রে তা প্রশংসিত হয়। পৃথিবীর ইতিহাসেও বিষয়টি রীতিমতো নজির স্থাপন করে। কারণ এর আগে কোন দেশের কোন সরকার প্রধান তামাক নির্মুলে এমন নির্দিষ্ট টাইম ফ্রেমের ঘোষণা দেননি। এখন প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা মোতাবেক ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি বিবেচনায় তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সকলের মধ্যে সচেতনার পাশাপাশি বিদ্যমান আইনের সংশোধনের বিকল্প নেই।
আমাদের দেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে ‘তামাক’ এর অর্থ হিসেবে বলা আছে, তামাক হলো কোন নিকোটিনা টাবাকাম বা নিকোটিনা রাসটিকার শ্রেণিভুক্ত উদ্ভিদ বা এসম্পর্কিত অন্য কোন উদ্ভিদ বা এর কোন পাতা বা ফসল, শিকড়, ডাল বা এর কোন অংশ বা অংশ বিশেষ। আর ‘তামাকজাত দ্রব্য’ অর্থ তামাক, তামাক পাতা বা এর নির্যাস থেকে প্রস্তুত যে কোন দ্রব্য, যা চোষণ বা চিবানোর মাধ্যমে গ্রহণ করা যায় বা ধূমপানের মাধ্যমে শ্বাসের সাথে টেনে নেয়া যায় এবং বিড়ি, সিগারেট, চুরুট, গুল, জর্দ্দা, খৈনী, সাদাপাতা, সিগার এবং হুক্কা বা পাইপের ব্যবহার্য মিশ্রণও এর অন্তর্ভুক্ত হবে।
অন্যদিকে ‘ধূমপান’ অর্থ কোন তামাকজাত দ্রব্যের ধোঁয়া শ্বাসের সাথে টেনে নেয়া বা বের করা এবং কোন প্রজ্বলিত তামাকজাত দ্রব্য ধারণ করা বা নিয়ন্ত্রণ করাও এর অন্তর্ভুক্ত হবে।
এখন দেখা যাক, আমাদের দেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কিছু উল্লেখযোগ্য ধারায় কি বলা আছে।
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ৪ (১) ধারা ৭ এ বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি কোন পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপান করতে পারবেন না।
৬ (২) ধারায় বলা আছে, কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি অনধিক তিনশত টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হবেন এবং উক্ত ব্যক্তি দ্বিতীয়বার বা পুনঃ পুনঃ একই ধরণের অপরাধ সংঘটন করলে তিনি পর্যায়ক্রমিকভাবে উক্ত দন্ডের দ্বিগুণ হারে দন্ডনীয় হবেন।
একই ভাবে ৭ (১) এ বলা আছে, কোন পাবলিক প্লেসের মালিক, তত্ত্বাবধায়ক বা নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি বা ব্যবস্থাপক সেটিতে এবং কোন পাবলিক পরিবহনের মালিক, তত্ত্বাবধায়ক, নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি বা ব্যবস্থাপক সেখানে ধূমপানের জন্য স্থান চিহ্নিত বা নির্দিষ্ট করে দিতে পারবেন। একই ধারায় (২) এ বলা আছে, কোন পাবলিক প্লেস বা পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের স্থানের সীমানা, বর্ণনা, সরঞ্জাম এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিধি দ্বারা নির্ধারিত হবে।
এসব বিধির ধারাবাহিকতায় সরকার কর্তৃক অধূমপায়ীদের রক্ষার্থে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩)-এ ‘পাবলিক প্লেস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস, আধা-সরকারি অফিস, স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও বেসরকারি অফিস, গ্রন্থাগার, লিফট, আচ্ছাদিত কর্মক্ষেত্র (ইনডোর ওয়ার্ক প্লেস), হাসপাতাল ও ক্লিনিক ভবন, আদালত ভবন, বিমানবন্দর ভবন, সমুদ্রবন্দর ভবন, নৌ-বন্দর ভবন, রেলওয়ে স্টেশন ভবন, বাস টার্নিমাল ভবন, প্রেক্ষাগৃহ, প্রদর্শনী কেন্দ্র, থিয়েটার হল, বিপণী ভবন, চতুর্দিকে দেয়াল দ্বারা আবদ্ধ রেস্টুরেন্ট, পাবলিক টয়লেট, শিশুপার্ক, মেলা বা পাবলিক পরিবহনে আরোহণের জন্য যাত্রীদের অপেক্ষার জন্য নির্দিষ্ট সারি, জনসাধারণ কর্তৃক সম্মিলিতভাবে ব্যবহার্য অন্য কোন স্থান অথবা সরকার বা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, সময় সময় ঘোষিত অন্য যে কোন বা সকল স্থান এবং এ সমস্ত স্থানে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এই আইনে পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ করলেও ঐসব এলাকায় ‘ধূমপান এলাকা’ রাখার বিধান করা হয়েছে। ‘ধূমপান এলাকা’ হিসেবে আইনে বলা হয়েছে, কোন পাবলিক প্লেস বা পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্দিষ্টকৃত কোন এলাকাই হলো ‘ধূমপান এলাকা’।
২০১৩ সালে সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে হসপিটালিটি সেক্টর যেমন- বিনোদন কেন্দ্র, হোটেল-মোটেল ও এক কক্ষ বিশিষ্ট নয় এমন রেস্তোরাঁসমূহে ধূমপানের জন্য নির্দিষ্ট স্থান (ডিএসএ) রাখার বিধান রয়েছে।
অনেক সময়ই দেখা যায়, ধূমপান করার জন্য নির্দিষ্ট স্থানটি পুরোপুরি সুরক্ষিত নয়। ফলে ধূমপানের ধোঁয়া ধূমপান মুক্ত এলাকাতেও চলে যায়। যার ফলে অন্যরাও পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। তবে উচিত হলো, পাবলিক প্লেসে ধূমপান মুক্ত এলাকাকে পুরোপুরি ধূমপান মুক্ত রাখা উচিত। এর ফলে অধূমপায়ী পর্যটক, নারী ও শিশু পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
কানাডা, স্পেন, নেপালসহ বিশ্বের ৬৩টি দেশে পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত জায়গা নিষিদ্ধ করে আইন রয়েছে। অথচ আমাদের দেশের আইনে পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত এলাকা, চার দেয়ালে আবদ্ধ এক কক্ষ বিশিষ্ট নয় এমন রেস্টুরেন্ট, একাধিক কক্ষ বিশিষ্ট গণপরিবহনে (ট্রেন, লঞ্চ) ও অযান্ত্রিক পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের নির্দিষ্ট স্থান রাখার বিধান রয়েছে। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ এর ধারা ৭ সংশোধন করে সব ধরনের পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান নিষিদ্ধ করা এবং পাবলিক প্লেসকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত করা জরুরী।
আমরা জানি, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুনত্বের উদ্ভব হয়। নতুন নতুন চাহিদা ও সমস্যার বিষয়ও সামনে আসে। আগে তামাক কোম্পানীগুলো যেভাবে তাদের প্রচার-প্রচারণা চালাতেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারাও প্লান-প্রোগ্রাম পরিবর্তন করছেন। ফলে ২০০৫ এর পর থেকে আইনের মাধ্যমে যেভাবে তামাকের ব্যবহার ধীরে ধীরে কমে আসতে শুরু করেছে সেটির ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য হলেও আগামী দিনগুলোতে তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনতে আইনের সংশোধন প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অন গ্লোবাল টোব্যাকো এপিডেমিক ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ এবং তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে এখনও সর্বোত্তম মান অর্জনের ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। জনস্বাস্থ্য, বিশেষ করে কিশোর ও তরুণদের জন্য নতুন হুমকি ই-সিগারেটের মতো এমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট নিষিদ্ধ করার বিষয়ে এখনো বিশেষ কোন উদ্দেশ্য গ্রহণ করা হয়নি।
আবার সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কের ৫০% জুড়ে সচিত্র সতর্কবাণী মুদ্রণ বাধ্যতামূলক করা হলেও, মোড়কের আকার নির্ধারণ করা হয়নি। ফলে বিড়ি ও ধোঁয়াবিহীন তামাক দ্রব্যের ক্ষুদ্র আকারের মোড়কে সচিত্র সতর্কবার্তা সেভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করে না। বিদ্যমান আইনে গণপরিবহন ও রেস্তোঁরাসমূহে ক্ষেত্রবিশেষে ধূমপানের সুযোগ পরোক্ষ ধূমপান নিয়ন্ত্রণ বাঁধাগ্রস্থ করছে। বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়নি। বিড়ি-সিগারেটের সিঙ্গেল স্টিক বা খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধ নয়। ই-সিগারেটের মতো এমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টসমূহ আমদানি ও বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কের আকার/আয়তন নির্ধারণ না করায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। তামাক কোম্পানির ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি’ বা সিএসআর কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়নি।
ডব্লিউএইচও (হু) এর রিপোর্ট মোতাবেক নেপাল, ভুটান, থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের ৪৩টি দেশে বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ হয়েছে। অনুরূপভাবে বিশ্বের ৮৬টি দেশে সিগারেটের খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধ। অথচ আমাদের দেশের আইনে বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা বিক্রির বিষয়ে কিছু উল্লেখ নেই।
সরকারের অষ্টম পঞ্চ-বার্ষিকী পরিকল্পনায় তামাক নিয়ন্ত্রণ অন্তর্ভুক্ত করেছে। তবে এই সব বিষয়গুলোর সমাধানের জন্য বিদ্যমান আইনের সংশোধনের বিকল্প নেই বলেই মনে করছি। সুতরাং, আগামী প্রজন্মকে রক্ষার্থে ও তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়াতে সকলকে ঐকান্তিক ভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

লেখক: রেজাউর রহমান রিজভী, প্রাবন্ধিক ও নৃবিজ্ঞানী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *