‘তুমি যাকে ভালোবাসো, স্নানের ঘরে বাষ্পে ভাসো’- বাঙালির অতি পরিচিত এ গানের শিল্পী ইমন চক্রবর্তীর সঙ্গে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইলেন কেশব রায় চৌধুরী। ‘পুরানো সেই দিনের কথা’ গানটির নতুন করে সংগীতায়োজন করছেন তরুণ গায়ক ও সঙ্গীত পরিচালক কিশোর দাস।
জানা গেছে, এ বছরের মার্চে গানটির ভিডিও শুটিং হলেও করোনা মহামারির কারণে এতোদিন তা প্রকাশ হয়নি। অবশেষে গত শনিবার গানটি সাউন্ডটেকের ব্যানারে প্রকাশিত হয়েছে।
ইমন চত্রবর্তী জানান, এই গানের সংগীতায়োজক কিশোর আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওর সঙ্গে আমার আগে থেকেই আমার পরিচয়, তার ওপর পূর্ণ আস্থা ছিল।
সহশিল্পী কেশব রায় চৌধুরী সম্পর্ক ইমন বললেন, একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়েও তিনি সংগীত ভালোবাসেন। তিনি যে পেশায় আছেন, সেখান থেকে গান করা খুবই কঠিন। ব্যাপারটিকে আমি ভীষণ সম্মানের চোখে দেখছি। যখন কেশবদার কণ্ঠ শুনলাম, এরপর অ্যাপ্রোচ—সব মিলিয়ে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। তাই গেয়েছি। আরেকটা বিষয়, কেশবদার গান গাওয়ার মধ্যে একটা সততা আছে। তিনি যা–ই করেন পূর্ণ মনোযোগ দিয়েই করেন।
কেশব রায় চৌধুরী জানান, নিছক শখের বশেই তার এ গান গাওয়া। তিনি বলেন, জনসমক্ষে রবীন্দ্রসংগীত গাওয়ার সবচেয়ে বড়ো ঝুঁকি এই যে, এই সংগীতের যেমন একটা ধরাবাঁধা ছক ও ঢং রয়েছে, তেমনি এই সংগীতের বিদগ্ধ শ্রোতাদের শ্রবণেন্দ্রিয় সকল সময় আড়ষ্ট থাকে প্রতিষ্ঠিতদের সেই চেনা-গায়কিতে। ফলে তুলনাটা চলে সর্বদা সেই নিক্তি ধরেই। তবে এতসব ঝুঁকি মাথায় নিয়ে একপ্রকার ঝোঁকের বশেই করে ফেলেছি এই বিখ্যাত গানটি। ভুলত্রুটি মার্জনার আবদার করে গানটি শোনা ও দেখার নিবেদন করছি সবার প্রতি।
সঙ্গীতায়োজক কিশোর বলেন, ইমন চক্রবর্তী সম্পর্কে নতুন কিছু বলার নেই। তিনি কলকাতার ব্যস্ত শিল্পী। অন্যদিকে কেশব রায় চৌধুরীর গানের প্রতি একাগ্রতা এবং ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছে। তিনি পেশাদার গায়ক নন। তবে গানের প্রতি তার যে ডেডিকেশন সেটা যে কোনো পেশাদার শিল্পীর সঙ্গে তুলনা করা যায়।
কিশোর বলেন, গানটি মিউজিক করার সময় কিছু এক্সপেরিমেন্ট করেছি। একটি আইরিশ ফোক গানের সঙ্গে আধুনিক যন্ত্রানুসঙ্গের মিশ্রণ করেছি। আশা করছি বহুল জনপ্রিয় গানটিতে কিছু নতুনত্ব পাবেন শ্রোতারা।
গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন চন্দন রায় চৌধুরী। মডেল হিসেবে পারফর্ম করেছেন ফারদিন ও তামান্না। কেশব রায় চৌধুরী সহকারী জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে ঢাকাতে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগেও তার গাওয়া গান প্রকাশ করেছিল ধ্রুব মিউজিক স্টেশন।