শুক্রবার, এপ্রিল ২৬Dedicate To Right News
Shadow

চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকীতে জামালপুরে শোক র‌্যালি

Spread the love

একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার, লেকক, নাট্যকার ও অভিনেতা আমজাদ হোসেনের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল ১৪ ডিসেম্বর ২০২১। এ উপলক্ষে তাকে স্মরণ করে তার নিজ জন্মভূমি জামালপুরে এক শোক র‌্যালির আয়োজন করা হয়েছে। আমজাদ হোসেন চর্চা কেন্দ্র, জামালপুরের উদীচী, খেলাঘরসহ ৭০টি সংগঠনের অংশগ্রহণে এ শোক র‌্যালিটি সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে জামালপুর বকুলতলা মোড় থেকে শুরু হয়ে আমজাদ হোসেন শায়িত পৌর কবরস্থানে গিয়ে শেষ হবে। এ সময় শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে আমজাদ হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও জামালপুরের সর্বস্তরের মানুষ। দিনব্যাপী কোরানখানি ও বাদ আসর মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে এসব সংগঠনের পক্ষ থেকে।

এছাড়াও এদিন আমজাদ হোসেনের সারা জীবনের কর্মস্থল এফডিসিতে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির উদ্যোগে আমজাদ হোসেন স্মরণ সভা, মিলাদ মাহফিল ও তবারক বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে। এ বরেণ্য চলচ্চিত্রকার স্মরণে এ শোক র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেবেন আমজাদ হোসেনের বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল।

আমজাদ হোসেনের দুই পুত্র সাজ্জাদ হোসেন দোদুল ও সোহেল আরমান। তারা দুজনেই পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে তিনি ইশকেমিক স্ট্রোকে আক্রানমশ হলে তাকে ঢাকার ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পরবর্তীকালে সরকারী অনুদানে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ২৭শে নভেম্বর ব্যাংককে নিয়ে যাওয়া হয়। আমজাদ হোসেন ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর ৭৬ বছর বয়সে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ২০ ডিসেম্বর তার মরদেহ দেশে পৌঁছলে জামালপুরের পৌর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য, চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন ১৯৬১ সালে ‘তোমার আমার; চলচ্চিত্রে অভিনয় দিয়ে চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরে তিনি চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন এবং চলচ্চিত্র পরিচালনা করে খ্যাতি অর্জন করেন। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র আগুন নিয়ে খেলা (১৯৬৭)। পরে তিনি নয়নমনি (১৯৭৬), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), ভাত দে (১৯৮৪) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রশংসিত হন। এছাড়াও সুন্দরী, জন্ম থেকে জ্বলছি ও কসাই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তাবত দর্শক হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে নেন। গোলাপী এখন ট্রেনে ও ভাত দে চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালকের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত করে। তিনি ৬ বার বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া সাহিত্য রচনার জন্য তিনি ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুইবার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার ও ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কার লাভ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *