‘হসপিটালিটি সেক্টরে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এলক্ষ্যে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের অধিভুক্ত সকল হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও স্থাপনাকে পুরোপুরি ধূমপানমুক্ত করার ব্যাপারে আমরা একমত’- বলেছেন বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আলি কদর। ১০ মার্চ রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন এবং বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের যৌথ আয়োজনে ‘শতভাগ ধূমপানমুক্ত হসপিটালিটি সেক্টর গঠনে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে তামাকের ব্যবহার ধাপে ধাপে কমিয়ে আনতে হবে। এলক্ষ্যে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে।
ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে) এর সহযোগিতায় সভার সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. আব্দুস সামাদ। সভায় বক্তব্য প্রদান করেন মো. মোস্তাফিজুর রহমান, লিড পলিসি এডভাইজার, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস, হোসেন আলী খোন্দকার, সমন্বয়কারী (অতিরিক্ত সচিব), জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল, মো. তৌফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ, বাংলাদেশ রেস্তোঁরা মালিক সমিতি, নাদিরা কিরণ, সভাপতি, এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (এটিজেএফবি), ইকবাল মাসুদ, পরিচালক, স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টর, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন প্রমুখ।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন আক্তার রিনির সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ শরিফুল ইসলাম।
ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের লিড পলিসি এডভাইজার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, যিনি ধূমপান করেন না তার অধিকার আছে পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতির হাত থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য। অথচ পরোক্ষ ধূমপানে ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যাই বেশি। যেহেতু ধূমপানের ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। সেজন্য সব ধরনের পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান নিষিদ্ধ করা উচিত।
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. আব্দুস সামাদ বলেন, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান স্যারের নির্দেশনা অনুসারে আমাদের সকল স্থাপনাকে পুরোপুরি ধূমপানমুক্ত করতে আমরা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবো।
এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (এটিজেএফবি) এর সভাপতি নাদিরা কিরণ বলেন, অধূমপায়ীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কানাডা, স্পেন, নেপালসহ বিশে^র ৬৩টি দেশে পাবলিক প্লেসে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ নিষিদ্ধ করে আইন রয়েছে। এটি আমাদের জন্য দৃষ্টান্ত। আমরাও অনুরূপ ভাবে হসপিটালিটি সেক্টর সহ সকল পাবলিক প্লেসে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিতে পারি।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন, বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে রেস্তোরাঁকে পাবলিক প্লেস হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করার পাশাপশি সেখানে ’ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’-এর বিধান রাখা হয়েছে। যা ‘পাবলিক প্লেসকে’ শতভাগ ধূমপানমুক্ত রাখার ক্ষেত্রে অন্তরায়। এজন্য হসপিটালিটি সেক্টরকে পুরোপুরি ধূমপানমুক্ত রাখা গেলে মহিলা, শিশু, শ্রমিক-কর্মচারীসহ সকল অধূমপায়ীরা পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে।