- পংকজ ফ্রান্সিস, জাবি প্রতিনিধি
আজ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অষ্টম “জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াড-২০২২” এর পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম, এখানে বিজ্ঞান, সাহিত্য, ও অন্যান্য শিক্ষার সকল শাখা অধ্যয়ন করা হয়ে থাকে। গণিত শুধু সংখ্যা নিয়ে কাজ না, বিশ্বকে জানতেও গণিত অবদান রাখে, আর এমন অলিম্পিয়াড শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করে থাকে। শিক্ষাকে আনন্দময় করতেই নতুন শিক্ষানীতি করা হয়েছে, শিক্ষা যেন জীবনমুখী হয় । বিজ্ঞান ও গণিতের সাথে নান্দনিকতা যোগ করতে হবে”। গণিতকে ভয় করলেও সাহস রাখতে বলে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন বলেই, জনগণ শতভাগ বিদ্যুৎ পেয়েছে, তবে যুদ্ধের জন্য বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে হচ্ছে বলে লোডশেডিং হচ্ছে”। “গণিতের মাঝেই বিজ্ঞানের বাস, গণিতেই করি মেধার বিকাশ” উনি এই স্লোগানকে উচ্চারণ করে বিজ্ঞানে শিক্ষার্থীদের উন্নতি সাধন ও বিজ্ঞানের জয় আশাবাদ ব্যক্ত করে বক্তব্য সমাপ্ত করেন।
বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ বেনজীর আহমদ বঙ্গবন্ধুর পরিবার ও মুক্তিযুদ্ধাদের স্মরন করে “প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ৫০ বছরের যে পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে তা সুদূর প্রসারি” বলে বক্তব্য রাখেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ নূরুল আলম বলেন, শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষায় বিপ্লব এনেছেন, “প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ কোন জায়গা নেই যেখানে উন্নয়ন হয়নি, জাবির জন্যও ইতিহাসের সব থেকে উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করেছেন”, পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার আমন্ত্রণ ও সাইন্স ক্লাবকে ধন্যবাদ জানিয়ে সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেছেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল, সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মুনজুরুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, গাণিতিক ও পদার্থ বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. অজিত কুমার মজুমদার, ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণাগারের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ. এ. মামুন এবং অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবির প্রমুখ।
উল্লেখ্য, শ্রেণি বিভাজনের ভিত্তিতে এবারের অলিম্পিয়াডে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ৭টি ক্যাটাগরি ছিল। এতে দেশের ২০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৫,০০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ নাম্বার পাওয়া প্রথম ৫ জন কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। সে হিসেবে সাত শ্রেণি থেকে ৩৫ জন কে পুরস্কৃত করা হয়েছে। #….